পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমদগ্নি নন্দার সাহায্যে সৈন্যসহ তাহার যথোচিত সৎকার করেন। রাজা সেই কামধেনু গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, মুনিবর তাহ প্রদান করিতে অসন্মত হইলেন। তখন তাহদের মধ্যে মহা বিবাদ উপস্থিত হইল। কামধেনুর সাহায্যে জমদগ্নি রাজার সহিত তুমূল সমর করিলেন। কিন্তু পরিশেষে তাহার শরে নিধন প্রাপ্ত হইলেন। (মহা) জয়—বিষ্ণুর দ্বার রক্ষক। একদ সনকাদি ঋষিগণ বিষ্ণুর সহিত সাক্ষাতের জন্ত উপস্থিত হন । জয়, ভ্রাতা বিজয়ের সহিত র্তাহাদিগকে বিষ্ণুর সমীপে যাইতে বাধা দেন। তখন ঋষিগণ তাহাদিগকে স্বৰ্গচ্যুত হইয়া মর্ত্যে জন্ম গ্রহণ করিতে অভিসম্পাত করেন। পরে বিষ্ণু আদেশ করেন ষে তাহারা মিত্ররূপে সপ্ত জন্ম . কিংবা শক্ররূপে তিন জন্ম পরে পুনরায় স্বর্গে আসিতে পারেন। ইহারা শক্ররূপে জন্মগ্রহণ করিতে অভিলাষী হন। এই কারণে ইহারা সত্যযুগে হিরণ্যকগুপু ও হিরণাক্ষ, ত্রেতায় রাবণ ও কুম্ভকৰ্ণ, এবং দ্বাপরে শিশুপাল ও দণ্ডচক্র রূপে জন্ম গ্রহণ করেন। (রামা, ভাগবত) জয়চাঁদ-কন্যকুজের শেষ রাজা । = ইনি দিল্লীপতি অনঙ্গপালের দৌহিত্র [ ৮৯ ] জয়চাঁদ ছিলেন। দিল্লীপতি অপুত্ৰক বলিয়৷ তাহার অন্য দৌহিত্র পৃথ্বীরাজকে সিংহাসন প্রদান করেন । তজন্ত পৃথ্বীরাজের উপর জয়চাদের বিশেষ বিদ্বেষ জন্মে। এই বিদ্বেষভাব ক্রমে বৃদ্ধি পায়। ইনি তাহার বিরুদ্ধে অশেষ ষড়যন্ত্র করেন । কিন্তু তাহার বীরত্বে ও বুদ্ধিবলে ইনি বিফল মনোরথ হইতেন । পৃথ্বীরাজকে অপদস্থ করিবার জন্য জয়চাঁদ স্বীয় ভগিনীর স্বয়ম্বরের উদ্যোগ করেন। সভায় তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মণিপুৰ্ব্বক দ্বারবেশে স্থাপন করা হইল। - রাজকন্যা ংঘথা অগ্রে রূপগুণবলবীৰ্য্যসম্পন্ন পৃথ্বীরাজকে মনে মনে আত্ম সমর্পণ করিয়াছিলেন । তিনি সভায় আগমন পূৰ্ব্বক অন্যান্ত রাজাদিগকে উপেক্ষা করিয়া সেই প্রতিমূর্তির গলায় বরমাল্য প্রদান করিলেন । পৃথ্বীরাজ সেই মূৰ্ত্তির নিকটেই লুক্কায়িত ছিলেন। বরমাল্য অর্পণ মাত্র তিনি র্তাহাকে তথা হইতে লইয়া প্রস্থান করিলে যুদ্ধ উপস্থিত হইল। যুদ্ধে জয়চাঁদ সবন্ধু বান্ধবে পরাস্ত হইয়া যৎপরোনাস্তি অপ মানিত হইলেন। স্বয়ং শত্রুর দমনে অসমর্থ হইয়া জয়চাদ মহম্মদ ঘোরিকে সাহায্যার্থ আহবান করেন। পৃথ্বীরাজের বিরুদ্ধে আগমন করিয়া মহম্মদ