পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-সংগ্ৰহ । و بر পোষণ করিয়াছেন, সেই আমার দেহ, আপনারই আছে জানিবেন। আপনি যখন যাহা আজ্ঞা করিবেন, আমি তৎক্ষণাৎ তাহা সম্পন্ন করিব। সন্ন্যাসী বলিয়া আমার মন, পার্থিব বস্তু সকল হইতে নিম্পূহ থাকিতে পারে, কিন্তু আপনাকে কখনই ভুলিতে পারিব না।” তিনি এই স্থানে মাতৃ-আজ্ঞা লইয়া নীলাচলে থাকিতে মনস্থ করেন। চৈতন্যদেব আরও কয়েক দিবস শান্তিপুরে থাকিয়া, মাতা ও সঙ্গিগণের নিকট বিদায় লইয়া, নিতাই, গদাধর প্রভৃতি কয়েকজন শিষ্য-সমভিব্যাহারে পুরী যাত্রা করেন । তিনি শ্ৰীমন্দিরে উপস্থিত হইলে জগন্নাথ দর্শনে র্তাহার প্ৰেম-সিন্ধু একেবারে উদ্বেল হইয়া উঠে । তিনি জগন্নাথদেবকে ভাবাবেশে আলিঙ্গন করিবার ইচ্ছায়। যেমন অগ্রসর হইবেন, আমনি প্ৰেমবিহ্বল হইয়া মূচ্ছিত হইয়া পড়েন। ঐ সময়ে সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তথায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি চৈতন্যের ঐক্লপ অলৌকিক ভাবাবেশের অবস্থা দেখিয়া বাহক দ্বারা তঁহাকে তুলিয়া নিজগৃহে লইয়া যান। তথায় নিত্যানন্দ প্ৰভৃতি শিষ্যগণ উচ্চৈঃস্বরে হরি সংকীৰ্ত্তন করিতে থাকায়, বেলা তৃতীয় প্রহরের সময় তাহার চৈতন্যসঞ্চার হয়। সাৰ্ব্বভৌম যখন শুনিলেন । যে, সন্ন্যাসী নবদ্বীপ-নিবাসী জগন্নাথ মিশ্রের পুত্র এবং নীলাম্বর চক্ৰবৰ্ত্তব দৌহিত্র, তখন তাহার আর আনন্দের সীমা রহিল না। সাৰ্ব্বভৌমেরও নিবাস নবদ্বীপ। তাহার পিতা ও নীলাম্বর সমসাময়িক লোক ছিলেন । এক দিবস সাৰ্ব্বভৌমের সহিত চৈতন্যদেবের ঈশ্বর সম্বন্ধীয় নানাবিধ তর্ক-বিতর্ক হয়। ঐ সময়ে চৈতন্যদেব সার্বভৌমকে বলিয়াছিলেন যে, “আপনি যে বিদ্যায় বিভূষিত, তাহাতে ঐশ্বরিক কোন বিষয় জানিতে

  • চৈতন্যদেবের গৃহত্যাগের পর বিষ্ণুপ্রিয়া সন্ন্যাস-ব্ৰতধারিণী হইয়া গৌরাঙ্গের পাদুকা পূজা ও বৃদ্ধ শ্বশ্ৰী শচী দেবীর সেবা-শুশ্রুষা করিতেন। র্তাহার সেবায় শচী দেবীর অপত্য-বিরহ অনেক প্রশমিত হইয়াছিল।