পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যদেব। レア? Mvh সমর্থ নহেন। ঈশ্বরকে জানিতে হইলে, তাহাকে বিশ্বাস ব্যতীত পাওয়া যায় না । ভগবানের সহিত আমাদের চির-সম্বন্ধ। ভক্তিযোগে সেই সম্বন্ধ বুঝিতে পারা যায়। ধৰ্ম্মের যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে, তবে সে ভগবানের প্রেম ও ভক্তি । আত্মারাম মুনিগণও ভগবানে ভক্তি করিয়া থাকেন। এই বলিয়া তিনি ভাগবতের নিম্নলিখিত শ্লোক আবৃত্তি করেন । “আত্মারামশ্চমুনয়ো নিগ্রন্থা অপুরুক্রমে। কুৰ্ব্বন্ত্যহৈতুকীং ভক্তিমিখস্তৃত গুণে হরিঃ ৷” ভগবানের এতাদৃশ গুণ যে, যাহারা আত্মারাম ঋষি ও মৌনব্ৰতাবলম্বী, যাহাঁদের হৃদয়গ্ৰন্থি ছিন্ন হইয়াছে, তাহারাও তাঁহাকে অহৈতুকী ভক্তি করিয়া থাকেন। সাৰ্ব্বভৌম ঐ শ্লোকের ব্যাখ্যা শুনিতে চাহিলে, চৈতন্যদেব বলিয়াছিলেন, “আপনি মহাপণ্ডিত, আপনি ব্যাখ্যা করিয়া আমায় কৃতাৰ্থ করুন।” চৈতন্যের কথা শুনিয়া সাৰ্ব্বভৌম আপনার পাণ্ডিত্যের বলে উক্ত শ্লোকের ত্ৰয়োদশ প্রকার ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু চৈতন্যদেব ঐ সকল ব্যাখ্যা ব্যতীত আরও আঠার প্রকার নূতন ব্যাখ্যা করিয়া শুনাইয়া দেন। চৈতন্যদেবের ব্যাখ্যা শ্রবণে সাৰ্ব্বভৌম আপনার বিদ্যা-বুদ্ধিতে ধিক্কার দিয়া চৈতন্তের শরণাপন্ন হন । এক দিবস সাৰ্বভৌম গৌরাঙ্গকে সাধনের উপায় জিজ্ঞাসা করেন। ইহা শুনিয়া তিনি বলিয়াছিলেন, “কলিতে নাম-সংকীৰ্ত্তন করাই শ্রেষ্ঠ সাধন।” “তৃণাদপি সুনীচেন, তরোরিব সহিষ্ণুনা। অমানিনা মানদেন, কীৰ্ত্তনীয়ঃ সদা হরিঃ ৷” তৃণ অপেক্ষাও সুনীচ, তরুর ন্যায় সহিষ্ণু, এবং অভিমানশূন্য হইয়া সৰ্ব্বদা হরিনাম করিবে। মায়াবাদী সাৰ্বভৌম, চৈতন্তের কৃপায় ভক্তি-পথ