পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী । ᎹᏱ

        • = *^^=*******L

সৌভাগ্যবান মনে করেন। এক দিবস কৰ্ম্মকার কিছু ব্যস্তভাবে স্বামীজীর নিকট আসিয়া বলেন, “গুরুদেব ! আজি আমার বুকের ভিতর বড় ধড়ফড়, করছে, কেন যে এমন হচ্চে, বলতে পারি না, বোধ হয় কোন অমঙ্গল ঘটে থাকবে।” স্বামীজী কৰ্ম্মকারকে বিশেষ চিন্তিত দেখিয়া তাহাকে আশ্বাস প্ৰদান করিয়া বলেন, “এখনি তোমার বাটীর খবর আনিয়া দিতেছি, একটু অপেক্ষা কর।” “স্বামীজী ক্ষণেকের জন্য চক্ষু মুদিত করিয়া যাহা জানিতে পারিলেন, তখন আর তাহা কৰ্ম্মকারের নিকট প্ৰকাশ করিলেন না । তিনি কৰ্ম্মকার মহাশয়কে আহারাদি করিয়া সন্ধ্যার সময় আসিতে বলেন । কৰ্ম্মকার সন্ধ্যার সময় আসিয়া উপস্থিত হইলে, স্বামীজী তাহাকে এই কয়েকটা কথা বলেন—“আজ ভোর ছয়টার সময় তোমার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ বিসূচিকা রোগে মারা গিয়াছে। তুমি আজ রাত্রেই তাহাকে স্বপ্নে দেখিতে পাইবে।” স্বামীজীর মুখে এই নিদারুণ সংবাদ শ্রবণ করিয়া জয়গোপাল বাবু বিশেষ মৰ্ম্মাহত হন এবং অশ্রুবেগ সম্বরণ করিতে না পারিয়া কঁাদিয়া ফেলেন । কৰ্ম্মকার মহাশয়কে ক্ৰন্দন করিতে দেখিয়া স্বামীজী যে কয়েকটা উপদেশ বলেন, তাহা এই ;- “দেখ, বাপু ! এক ঈশ্বর ব্যতীত সকলই অনিত্য, কিছুই চিরস্থায়ী নয়। যাহা চিরস্থায়ী নয়, যাহা ক্ষণেক আছে, ক্ষণেক নাই, এমন যে সমস্ত বস্তু, তাহার জন্য দুঃখ প্ৰকাশ করা অজ্ঞানের কার্য্য। এই অজ্ঞানতাই মানুষের মনের একমাত্র আবরণ। এই সংসারের মধ্যে যাহাদের হৃদয় অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে আচ্ছন্ন, তাহারা কখনই মনে শান্তি পায় না। জ্ঞান ও অজ্ঞান এই দুইয়ে কত প্ৰভেদ, তাহা একটা সামান্য দৃষ্টান্তে বুঝিয়া লও। আলোক ও অন্ধকারে যেমন তফাৎ, জ্ঞান ও অজ্ঞানে সেইরূপ তফাৎ। অন্ধকার বিপদ ও ভ্ৰমজনক, আলোক বিপদ ও ভ্ৰমনাশক । অন্ধকারে পথ চলিতে চলিতে গাছকে যেমন মানুষ বলিয়া ভ্ৰম হয়, দড়িকে