পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O O জীবনী-সংগ্ৰহ । Awyrlu Al-Mu'YN-Y-Nuw Ynysyd সাপ বলিয়া ভয় হয়, ঠিক পথে চলিলেও যেমন মনে হয়, কোন বিপথে পড়িয়াছি, কিন্তু আলোকের দ্বারা যেমন সেই ভ্রম দূর হয় ; সেইরূপ অজ্ঞানী ব্যক্তি ঐ রূপ ভ্ৰমে পতিত হইয়া দুঃখ পায়। যখন তাহদের জ্ঞানের বিকাশ হয়, তখন তাহারা ঐ ভ্রম বুঝিতে পারে। তুমি জিজ্ঞাসা করিতে পার, অন্ধকারে ওরূপ ভ্ৰম হয় কেন ? অন্ধকাররূপ আবরণে ঐ সকল বস্তু আবৃত থাকে বলিয়াই ঐ রূপ ভ্ৰম হয়। আলোক ঐ আবরণ উন্মোচন করিয়া, উহাদের স্ব স্ব রূপ আমাদের নিকট প্ৰকাশ করিয়া দেয় বলিয়াই, আমাদের আর ভ্রম হয় না । তোমার হৃদয় অজ্ঞান-রূপ আবরণে আবৃত, সেইজন্য তুমি তোমার পুত্রের মৃত্যুসংবাদ শুনিয়া কাদিতেছ। যখন তোমার জ্ঞান জন্মিবে, তখন বুঝিতে পরিবে: যে, ঐ পুত্ৰ তোমার কেহই নয়।” জয়গোপাল বাবু, স্বামীজীর নিকট পুত্রের মৃত্যুসংবাদ এবং উপদেশপূৰ্ণ বক্তৃতা শ্রবণ করিয়া রাত্ৰিতে বাসায় আসিয়া শয়ন করেন। শেষ রাত্ৰিতে তিনি পুত্রকে স্বপ্নে দেখেন। পরদিন জরুরি ( urgent ) টেলিগ্ৰাম করিয়া জানিতে পারেন, স্বামীজীর সকল কথাই সত্য । কাশীর অসিঘাটের সন্নিকটে এক ব্যক্তির সর্পাঘাতে মৃত্যু হয়। মৃতব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, তাহাকে গঙ্গার জলে ভাসাইয়া দিবার সঙ্কল্প করে। যে স্থানে তাহারা সমস্ত আয়োজন করিয়া শবটী ভাসাইয়া দিবার উপক্রম করিতেছিল, দৈবযোগে স্বামীজী সেই স্থানের জলে ভাসিতেছিলেন। তিনি রোরুদ্যমানা ধূল্যবলুষ্ঠিতা অল্পবয়স্কা বিধবার মনোবেদন জানিতে পারিয়া সৰ্পদষ্ট ব্যক্তির নিকট আগমন করেন। তিনি কাহারও সহিত কোনরূপ বাক্যালাপ না করিয়া অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনীর দ্বারা কিঞ্চিৎ গঙ্গামৃত্তিক লইয়া, সৰ্পদষ্ট ব্যক্তির ক্ষতস্থানে টিপিয়া দিয়া গঙ্গাসিলিলে নিমজ্জিত হইয়া গেলেন। যাহারা মৃতব্যক্তির সৎকার করিতে আসিয়াছিল,