পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী o তাহাদিগের মধ্যে কেহই ইতঃপূৰ্ব্বে স্বামীজীকে দর্শন করে নাই। এদিকে স্বামীজী গঙ্গাগর্ভে বিলীন হইতে-না হইতেই সৰ্পদষ্ট ব্যক্তির অল্প অল্প জ্ঞানের সঞ্চার হইতে লাগিল, চক্ষুরুন্মীলন করিয়া দেখিল, সে একটা বাশের খাটুলীতে বাধা রহিয়াছে। তাহার রূপ-যৌবনসম্পন্ন ষোড়শা স্ত্রী একপার্শ্বে বসিয়া ক্ৰন্দন করিতেছে। ক্রমে জ্ঞান বৃদ্ধি হইতে থাকায় ও শরীরে একটু শক্তিসঞ্চার হওয়ায়, উঠিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। তাহাকে নড়িতে দেখিয়া তত্ৰত্য সকলেই আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। সৰ্পদষ্ট ব্যক্তি কথা কহিয়া বলিল, “আমার বাঁধন খুলিয়া দাও, কেন তোমরা আমাকে এরূপ অবস্থায় এখানে আনিয়াছ ?” মৃতব্যক্তিকে পুনর্জীবিত হইতে দেখিয়া তাহার আত্মীয়-স্বজনের চমক ভাঙ্গিল এবং লোকপরম্পরায় জানিতে পারিল, মৃতব্যক্তির জীবন-দাতা স্বামীজী ব্যতীত আর কেহই নহেন । অনেকেই স্বামীজীকে ঘোরতর শাতে আহার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া দুই তিন দিবস গঙ্গার জলে ভাসিয়া বেড়াইতে এবং গ্রীষ্মকালে প্ৰচণ্ড রৌদ্রের উত্তাপে উত্তপ্ত প্রস্তরোপরি বসিয়া থাকিতে দেখিয়াছেন। কাশীতে আসিয়া অবধি ইনি। কয়েকজন শিষ্য ব্যতীত অন্য কাহারও সহিত বড় একটা কথা কহিতেন না, এবং অন্বেষণ করিয়া কখন ? আহার করিতেন না । ভক্তগণ যে যাহা শ্রদ্ধা করিয়া ইহার মুখে ধরিতেন, তাহাই ভক্ষণ করিয়া জীবনধারণ করিতেন। কতকগুলি দুষ্টলোক ইহাকে ভণ্ড তপস্বী মনে করিয়া উপযুক্ত শাস্তিপ্রদান করিবার জন্য প্রায় একসের আন্দাজ কলিচুণ, জলে গুলিয়া দুগ্ধের মত করে ; পরে উহ! পান করাইবার জন্য স্বামীজীর নিকট লইয়া যায়। স্বামীজী, দুষ্টদিগের মনোভাব বুঝিতে পারিয়া একবার তাহদের মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, পরে অমানবদনে তাহার সমস্তই পান করিয়া ফেলেন। দুষ্টেরা ভাবিয়াছিল যে, তাহদের