পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী । o G সেই স্থানে দেখিতে পান, কেবল পৃথুীগিরির শিষ্যকে আর কেহই দেখিতে পাইলেন না । সেই সময়ে দয়ানন্দ সরস্বতী নামক একজন প্ৰসিদ্ধ বাগী ৬/কাশীধামে আসিয়াছিলেন। হিন্দুদেবদেবীর উপাসনার অসারত্ব প্রমাণ ও অযথা নিন্দাবাদ করিয়া সাধারণ লোকদিগকে স্বীয়ধৰ্ম্মে আনিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। স্বামীজীর কয়েকজন শিষ্য দয়ানন্দের সকল কথা স্বীয় প্রভুকে নিবেদন করেন। স্বামীজী ইহা শ্রবণ করিয়া স্বীয় শিষ্য মঙ্গলপ্ৰসাদ ঠাকুরের হস্তে একটুকুমাত্র কাগজে কি লিখিয়া উক্ত বাগ্মী প্রবারের নিকট পাঠাইয়া দেন। দয়ানন্দ উহা পাঠ করিয়া কাশী পরিত্যাগ করেন। মুঙ্গের ডিস্পেন্সারীতে শ্ৰীউমাচরণ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তি কম্পাউণ্ডারী করিতেন । তিনি একবার ৬/কাশীধামে আসিয়া স্বামীজীর সেবায় কিছুদিন অতিবাহিত করিয়াছিলেন। ৬/কাশীধামে প্রথম পদার্পণ করিয়া তাহার মনে “পুনর্জন্ম আছে কি না,” এই প্রশ্নের উদয় হয়। ইহার মীমাংসার জন্য তিনি স্বামীজীর নিকট গমন করেন। প্ৰথম দিন তিনি স্বামীজীকে দর্শন করিয়া তাহার প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করিবার জন্য সময় প্ৰতীক্ষা করিতে লাগিলেন। কিন্তু স্বামীজী তঁহার ঐ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিবার পূৰ্ব্বে অঙ্গুলীর সঙ্কেতে র্তাহাকে সেই স্থান হইতে চলিয়া যাইতে বলেন। তিনি একটু থাকিতে ইচ্ছা করিলেও স্বামীজীর সেবকগণ তঁহাকে শীঘ্ৰ সেইস্থান পরিত্যাগ করিতে বলেন। স্বামীজীর ঈদুশ ব্যবহারে তিনি ক্ষুব্ধচিত্তে বাসায় প্রত্যাগমন করেন। দ্বিতীয় দিবসেও ঐরূপ ঘটিল। তৃতীয় দিবসে মনে করিয়াছিলেন, তিনি প্রশ্নের উত্তর না লাইয়া বাসায় ফিরিবেন না, কিন্তু প্রশ্ন করিবার অবসর পান নাই। এইরূপ ক্রমাগত এক সপ্তাহ কাল যাতায়াত করিয়া তিনি দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ देन (, कळा তাহাকে এই প্রশ্ন করি বই করিব। আমি মহাপাপী বলিয়াই তঁহার