পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δ ο Αο জীবনী-সংগ্ৰহ নিকটে স্থান পাইতেছি না। পরদিন উমাচরণ বাবু স্বামীজীর নিকট আসিলে তিনি পূৰ্ব্বদিনের ন্যায় তাহাকে যাইতে বলেন। কিন্তু উমাচরণ বাবু “আমি মহাপাপী আমাকে উদ্ধার করিতেই হইবে,” এই কথা বলিতে বলিতে তাহার পদদ্বয় ধারণ করিয়া ভেউ ভেউ করিয়া কঁদিতে থাকেন। স্বামীজী তঁহাকে নিতান্ত কাতর দেখিয়া নিজেই তাহাকে বসিতে বলেন । র্তাহার দুঃখাবেগ কিঞ্চিৎ প্রশমিত হইলে স্বামীজী তাহাকে সন্ধ্যার সময়ে আসিতে আদেশ করেন। উমাচরণ বাবুর সংক্ষুব্ধচিত্ত আশ্বস্ত হইলে, তিনি বাসায় ফিরিয়া আইসেন এবং সন্ধ্যার প্রতীক্ষা করিতে থাকেন। সন্ধ্যা । সমাগত হইলে তিনি স্বামীজী’সকাশে গমন করেন, স্বামীজীও তঁহাকে উপবেশন করিতে বলেন। স্বামীজীর আশ্রমের মহাদেব এবং কালীমূৰ্ত্তির আরতি শেষ হইলে, তিনি তাহার মৌনব্ৰত ভঙ্গ করিয়া বলেন, “দেখ, তুমি যে বিষয় মনে করিয়া আমার নিকট আসিয়াছ, তাহা সত্য। ত্রিকালীদর্শী আত্মতত্ত্বজ্ঞ মহাত্মাগণ তপোবলে, জ্ঞানবলে ও যোগবলে যে সকল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করিয়া গিয়াছেন, তাহা সম্পূর্ণ সত্য। জীবের সুকৃতি ও দুস্কৃতি অনুসারে সুখদুঃখ ভোগ করিবার জন্য জন্মান্তর পরিগ্ৰহ করিতে হয় ।” স্বামীজী তাহার মনের ভাব কিরূপে জ্ঞাত হইলেন, ইহা ভাবিয়াই তিনি অবাক হইয়া গেলেন। সেই দিবস হইতে স্বামীজীর উপর তাহার প্রগাঢ় ভক্তি জন্মে। উমাচরণ বাবু তাহাকে সোৎসুকে জিজ্ঞাসা করেন, “গুরুদেব ! আমি কি এমন পাপকাৰ্য্য করিয়াছি, যাহাতে আপনার অনুগ্রহ লাভে বঞ্চিত হইয়াছিলাম ?” ইহা শুনিয়া স্বামীজী বলেন, “তুমি অমুক সময়ে এইরূপ অন্যায় কাৰ্য্য করিয়াছ, এত বৎসর বয়সের সময় অমুক স্থানে এইরূপ কুকাৰ্য্য করিয়াছ, আমি তোমার মুখ দর্শনই কারিতাম না, কেবল দেব-দ্বিজের প্রতি তোমার সামান্য মাত্ৰ ভক্তি আছে বলিয়া তোমাকে এখানে বসিতে বলিয়াছি। পূৰ্ব্বজন্মে তুমি চণ্ডালের ঘরে