পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sir জীবনী-সংগ্ৰহ। আলোচনা করিয়া পরস্পর আনন্দিত হইতেন। এইরূপে তাহার চল্লিশ বৎসর বয়ঃক্ৰম অতীত হইয়াছিল। হরিদ্বার ত্যাগ করিয়া তিনি পুনরায় কাশীধামের আনন্দবাগে আগমন করেন । স্বামীজী আনন্দবাগে আসিয়া ১৯২৫ সম্বতে কৌপীন পৰ্য্যন্ত পরিত্যাগ করেন। একদা শীতকালে কাশীবাসী বিদ্বৎমণ্ডলী ও রাজন্য বৰ্গ স্বামীজীর নিকট উপস্থিত হইয়া অতি বিনীতভাবে বলিয়াছিলেন, “গুরুদেব । শীতকালে সকলেই বস্তুদ্বারা গাত্র আচ্ছাদন করিয়া থাকে, কিন্তু আপনি কঠোর শীতঋতুতে অনাবৃতাগাত্রে দিবারাত্র যাপন করেন। আমরা আপনাকে অনুরোধ করি যে, আপনি গাত্রবস্ত্ৰ গ্ৰহণ করিয়া শীত হইতে দেহরক্ষা করুন।” তঁহাদের কথায় স্বামীজী উত্তর করেন, “সমীচীন ব্যক্তি যে বস্তু একবার ত্যাগ করেন, তাহা পুনরায় গ্ৰহণ করেন না।” স্বামীজী ধীর ও শান্ত প্ৰকৃতির লোক ছিলেন। তিনি নির্জন স্থানে বাস করিতেই ভালবাসিতেন। কিন্তু ইনি নির্জন ভালবাসিলে কি হয়, ইহার যোগ ও তপস্যার খ্যাতি চতুর্দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়ায়, তীর্থযাত্রীর ন্যায় অজস্ৰ জনমণ্ডলী ইহাকে দর্শন করিবার জন্য । তথায় আগমন করিত। ইহার ধৰ্ম্মোপদেশ শ্রবণ করিয়া, মহারাজ হইতে পর্ণকুটীরবাসী দরিদ্র পর্য্যন্ত অনেকেই ইঠার নিকট দীক্ষিত হন ও শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। জনশ্রুতি এইরূপ যে, ভাস্করানন্দ স্বামীর লক্ষাধিক শিষ্য হইয়াছিল। কেবল দেশস্থ ভক্তজনেরাই যে ভাস্করানন্দ স্বামীর মহিমা বুঝিয়াছিলেন, এমন নহে, নব্য সভ্যতম সুশিক্ষিত ইয়োরোপ ও আমেরিকার মহৎ মহৎ ব্যক্তিগণও ইহার প্রতি শ্ৰদ্ধা ও ভক্তি করিতেন। তপো প্ৰভাবে ভাস্করানন্দ স্বামীর অনেক অমানুষী ক্ষমতা জন্মিয়াছিল। কিন্তু তিনি ঐশিক ক্ষমতাসকল প্ৰকাশ করিতেন না। দুই