পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS o জীবনী-সংগ্ৰহ । SLSM LSLSL LLLeASSL eeLeLSSeSL eLSLSeeSSee eeSLLLLL LSL ALLALS ESLLLSLLLL LLLLLL LAeLeLLL SLeAeLSLLLLS LALA AeLeA LALALSMLeSLLM LLASAe SLA AeALL LLSLLeSAA L LeLeAALLLLALeLeAeSLLLL AALL LLeLSLSLeLALLS বলেন, “তোমার এখনও দীক্ষা লইবার সময় হয় নাই। তুমি না বলিয়া গুপ্তভাবে আমার কাছে আসিয়াছ। তোমার গর্ভধারিণী, তোমার সহধৰ্ম্মিণী, তোমার পুত্র-সন্তানেরা তোমার জন্য অত্যন্ত কাতর হইয়াছে। তুমি এখন ফিরিয়া যাও, কয়েক বৎসর পরে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিও ।” ঐ ব্যক্তি স্বামীজীর কথা শুনিয়া অত্যন্ত বিস্মিত হন, পরে আপনার মনোভাব গোপন করিয়া বলেন, “প্ৰভো ! আমার স্ত্রী, পুত্ৰ প্ৰভৃতি সকলেই আছেন সত্য, কিন্তু আমি তাহদের অনুমতি লইয়া আসিয়াছি।” স্বামীজী বলেন, “তুমি অনুমতি প্রার্থনা করিয়াছ সত্য, কিন্তু তাহারা তোমায় এ কাৰ্য্যে অনুমতি দেন নাই। তুমি তাহাদের উপর বিরক্ত হইয়া চলিয়া আসিয়াছ । তোমার সংসার ত্যাগ করিবার আরও একটী কারণ আছে, সেটা বলিয়া তোমায় লজ্জিত করিতে চাই না । তুমি ঘরে ফিরিয়া যাও, তোমার এখনও আকাঙ্ক্ষা মিটে নাই।” স্বামীজীর কথায় তিনি বলেন, “প্ৰভু! আমার মনে বৈরাগ্যের উদয় হওয়ায় আমি সংসার ত্যাগ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছি। ইহা ব্যতীত আমার আর অন্য কোন কারণ নাই ।” স্বামীজী তাহাকে পুনরায় বলেন, “আচ্ছা, তুমি তোমার পাশ্বের বাটীর কোন রমণীর প্রতি আসক্ত হইয়াছিলে কি ? তুমি যাচার সর্বনাশ করিয়াছ, সেই তোমার জ্ঞানদাত্রী। তাঁহারই কথায় তোমার মনে বৈরাগ্যের উদয় হইয়াছে।” স্বামীজীর অত্যভূত ক্ষমতা দর্শন করিয়া সেই ব্যক্তি তাহার চরণ দুইখানি জড়াইয়া ধরেন এবং পাপ হইতে মুক্ত হইবার জন্য ব্যাকুলত প্ৰকাশ করেন। স্বামীজী তঁহাকে অনেক বুঝাইয়া বলেন, “আচ্ছা, তেমায় দীক্ষিত করিব ; কিন্তু তোমাকে এখনও কয়েক বৎসর কাল সংসারাশ্রমে থাকিতে হইবে।” সেই ব্যক্তি তাহাতে সম্মত হন। এই ঘটনার কয়েক বৎসর পরে, একটী শুভদিন দেখিয়া তিনি তঁাহাকে