পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-সংগ্ৰহ স্থানে বাসের জন্যই হউক অথবা সেই গুহার উষ্মতাপ্ৰযুক্তই হউক, তাহার সমুদয় ব্যাধি সারিয়া যায়, শরীর কলঙ্ক-শূন্য হয়, অধিকন্তু তাহার এরূপ নূতন শরীর ও মনোহর রূপ হয় যে, তাহাকে দেখিলে আর মানুষ বলিয়া বিবেচনা হয় না । একদা এক ব্যাস্ত্ৰ আহাৰ্য্য অন্বেষণে সেই স্থান দিয়া আসিলে মনুষ্যের গন্ধে তাহাকে আকুল করিয়া তুলে। ব্যাস্ত্ৰ ক্ৰমে গুহার নিকটস্থ হইলে মনুষ্যগন্ধ অধিকতর প্রাপ্ত হইয়া গুহার মুখস্থিত বালুকারাশি পদের দ্বারা আকর্ষণ করিতে প্ৰবৃত্ত হয়। এই পৰ্ব্বত গুহার অনতিদূরে “কোল।” নামে জনৈক রাজর্ষি বাস করিতেন। ঋষি ফল-আহরণার্থ সেই স্থানে আসিয়া দেখেন, এক ব্যাস্ত্ৰ গুহামুখস্থ বালুকারাশি অপসারণ করিতেছে। ইহা দেখিয়া ঋষির কৌতুহল জন্মে, তিনি ক্রমে তাহার নিকটগামী হন । ঋষির প্রভাবে ব্যাস্ত্ৰ পলায়ন করিলে, ঋষি সেই গুহ্যদ্বারে গিয়া দেখেন, গুহ্যদ্বারের বালুকারাশি ব্যান্ত্র কর্তৃক উৎসারিত হইয়াছে, কিন্তু কতকগুলি কাষ্ঠের দ্বারা গুহ্যদ্বার আবৃত আছে। ঋষি আরও কৌতুহলী হন এবং কাষ্ঠগুলিকে একে একে অপসারিত করিয়া দেখেন, তন্মধ্যে যেন এক দেবকীন্ত উপবিষ্টা আছেন। ঋষি জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কে ?” কন্যা প্ৰত্যুত্তর করেন, “আমি কপিলবস্তু নগরের অমুক শাক্যের কন্যা ; আমার গলদকুণ্ঠ রোগ হইয়াছিল, তৎকারণে আমার প্ৰতি আমার ভ্রাতৃগণের ঘূণার উদ্রেক হওয়ায়, আমাকে এই স্থানে জীবিতাবস্থায় বিসর্জন দিয়া গিয়াছেন ; কয়েক দিনের মধ্যে আমার সে ভীষণ রোগ সারিয়া গিয়াছে। এক্ষণে আপনার অনুগ্ৰহে আমি মনুষ্যমুখ দেখিয়া পুনর্জন্মতুল্য বোধ করিলাম।” রাজর্ষি কোল, সেই কন্যার রূপে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে আশ্রমে লইয়া আইসেন এবং ধ্যান জ্ঞান সমস্ত পরিত্যাগ করিয়া তাহার সহিত গাৰ্হস্থ্য