পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব। ধৰ্ম্মের অনুশীলন করিতে থাকেন। ক্রমে সেই শাক্যদুহিতার গর্ভে, কোল ঋষির ঔরসে যমজক্ৰমে ১৬টী সন্তান জন্মে। ঋষিপুত্রেরা বয়োলাভ করিলে, তাহদের মাতা তাহাদিগকে কপিলবস্তু নগরে যাইবার জন্য আদেশ করেন। তিনি তাহাদিগকে বলেন, “পুত্ৰগণ । কপিলবস্তু নগরের অমুক শাক্য আমার পিতা, তোমাদের মাতামহ অমুক অমুক, তোমাদের মাতুল আমার ভ্রাতা অমুক ; এক্ষণে তোমরা সেই স্থানে র্তাহাদের নিকট যাও-অবশ্যই তাহারা তোমাদের বৃত্তি বিধান করিবেন । তোমার মাতামহ বংশ মহাদ্বংশ, অবশ্যই তাহারা তোমাদিগকে গ্ৰহণ করিবেন।” শাক্যকন্যা ঐরূপ বলিয়া পুত্রদিগকে শাক্যবংশের আচারব্যবহার, রীতিনীতি, ধৰ্ম্ম-বিষয়ক উপদেশ দেন। তাহারা মাতৃকুলের আচার ব্যবহার শিক্ষা করিয়া কপিলবস্তু নগরে গমন করে। ঋষিবালকেরা ক্ৰমে শাক্যদিগের সভাস্থানে উপস্থিত হন। তাহারা মাতার নিকট যেরূপ শিক্ষা পাইয়াছিল, সেইরূপ নিয়মে শাক্যসভায় প্ৰবেশ করিয়া আত্মপরিচয় প্ৰদান করে। শাক্যগণ ঋষিকুমারগণের শাক্যাচার দেখিয়া বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করেন, “তোমরা কোথা হইতে আসিতেছ। এবং কাহার বংশধর ?” তাহারা প্ৰত্যুত্তরে বলে, “আমরা কোলাশ্রম হইতে আসিয়াছি, আমাদের মাতা অমুক শাক্যের কন্যা, আমাদের পিতা কোল ঋষি। আমাদের মাত কুণ্ঠব্যাধিগ্ৰস্ত হইলে, অমুক শাক্য র্তাহাকে গিরিগহবরে পরিত্যাগ করিয়া আইসেন। দৈবানুগ্ৰহে তিনি আরোগ্য লাভ করিলে রাজর্ষি কোল তাহাকে বিবাহ করেন । আমরা তঁহাদের পুত্র ; মাতামহ ও মাতুলাদিগকে দেখিতে আসিয়াছি।” উক্ত বালকবৃন্দের মাতামহ এ পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন এবং তিনি ও র্তাহার পুত্রপৌত্ৰগণ, সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। কথিত বৃত্তান্ত