পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○や জীবনী-সংগ্ৰহ । নিক্ষেপ কর।” ভট্টর কথা শুনিয়া তুকারাম বলিয়াছিলেন যে, “পাণ্ডুরঙ্গের আদেশে তিনি এইরূপ করিয়াছেন।” ভট্ট তাহা বিশ্বাস না করিয়া পুনরায় উহা জলে নিক্ষেপ করিতে বলেন। ব্ৰাহ্মণের আজ্ঞা অবশ্য পালনীয় বলিয়া, তুকারাম তাহার আদেশমত অভঙ্গের পুথিগুলি ইন্দ্ৰায়নী নদীতে নিক্ষেপ করেন। পুথিগুলি জলে দিবার পূর্বে তিনি উহাদের দুইদিক্‌ পাতলা পাথরের দ্বারা আচ্ছাদিত করিয়া তাহার উপর বস্ত্ৰ বঁাধিয়া দিয়াছিলেন। লিখিত অভঙ্গগুলি জলে নিক্ষিপ্ত হইলে গ্রামস্থ ব্যক্তিগণ বিশেষ দুঃখিত হইয় তাহাকে বাক্য-যন্ত্রণায় অস্থির করিয়া তুলেন। “আমি যে পাণ্ডুরিঙ্গের আদেশ লঙ্ঘন করিয়াছি,” ইহা ভাবিয়া তিনি অন্নজল ত্যাগ করিয়া বিঠোবার মন্দিরের সমক্ষে হত্যা দেন। ১৩ দিন এই ভাবে পড়িয়া থাকিবার পর তাহার পুথিগুলি জলে ভাসিয়া উঠে। কোন এক ব্যক্তি ইহা দেখিতে পাইয়া ঐ সকল পুথি জল হইতে উত্তোলন করে এবং তুকারামকে আনিয়া দেয়। এই অলৌকিক ঘটনা দেখিয়া সকলেই তুকারামকে দেবতার ন্যায় ভক্তি করিতে আরম্ভ করে। রামেশ্বর ভট্ট তাহার প্রতি যে নিষ্ঠুর ব্যবহার করিয়াছিলেন, তাহার জন্য তিনি দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া তাহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ইতিহাস পাঠক মাত্রেই শিবাজীর নাম শ্রবণ করিয়াছেন। শিবাজী কেবল যে যুদ্ধবিদ্যাতেই পারদর্শী ছিলেন, তাহা নহে; তিনি ধৰ্ম্মসাধনেও বিশেষত্ব লাভ করিয়াছিলেন। তুকারামের গুণগরিমা ক্ৰমে শিবাজীর কৰ্ণে উঠে। তিনি তুকারামকে আপনার রাজধানীতে আনাইবার জন্য অশ্ব, ভূত্য ও রাজছত্ৰ পঠাইয়া দেন ; কিন্তু তুকারাম নিমন্ত্রণ গ্ৰহণ না করিয়া এই মৰ্ম্মে একখানি পত্ৰ লিখিয়া পাঠান ;- “মহারাজ ! কেন তুমি আমাকে দারুণ পরীক্ষার মধ্যে নিক্ষেপ করিতেছ? আমার বাসনা এই যে, নিঃসঙ্গ হইয়া সংসার হইতে