পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९४१ । । Ο δO v*YY*A* কুলপৎ ৬/কাশীধামে পলায়ন করিয়া জীবনের অবশিষ্টাংশ সময় বেদ পাঠে অতিবাহিত করেন। বেদে এই মৰ্ম্মের এক উপদেশ আছে দেখিতে পাইলেন, “পীড়ন মহাপাপ, যে পীড়ন করে, তাহার নিকট দয়ার আশা করা অন্যায়।” কুলপৎ র্তাহার ভ্রাতার প্রতি পূর্বব্যবহারের বিষয় স্মরণ করিয়া সোদীরাওর নিকট ক্ষমা প্ৰাৰ্থনা করিবেন মনস্থ করিলেন। লাহোরে পৌঁছিয়া তিনি ভ্রাতুষ্পপুত্রের নিকট বেদ পাঠ করিলেন। সোদীরাও বেদ শুনিয়া কুলপতের ক্ষমা প্রার্থনা বুঝিতে পারিলেন এবং তাহাকে * সিংহাসন দিয়া আপন রাজ্যে চলিয়া গেলেন। কুলপৎ বেদ পড়িয়া দিব্য জ্ঞানলাভ করিয়াছিলেন বলিয়া, তাহার বংশাবলী সেই হইতে বেদী নামে ठाङिश्ङि श्श्न । কালু, ত্রিপতা নায়ী এক সুলক্ষণসম্পন্ন ক্ষত্ৰিয়া রমণীর পাণিগ্রহণ করেন । দারপরিগ্ৰহ করিবার বহু দিবস পরে তঁহার এক কন্যা হয়। তিনি ঐ কন্যার নাম জানকী রাখেন । ইহার কয়েক বৎসর পরে ১৫২৬ ংবতে (১৪৬৯ খৃষ্টাব্দে ) কাৰ্ত্তিকী পূর্ণিমার দ্বিপ্রহর রাত্রে তাহার একটী পুত্র জন্মে। পিতা সন্তানের নামকরণের জন্য কুল-পুরোহিতকে আহবান করিলে, তিনি আসিয়া শিশুর অপরূপ রূপলাবণ্য ও অসাধারণ চিহ্নসকল দর্শন করিয়া এবং জন্মতিথিনক্ষত্ৰাদি শ্রবণ করিয়া তঁহার পিতাকে বলেন, “এই শিশু আপনার কুল পবিত্ৰ করিবে।” অনন্তর সেই কুল-পুরোহিত, নবকুমারের নাম “নানক নিরঙ্কারী” রাখিয়া প্ৰস্থান করেন। শিশুকাল হইতেই সাধু মহাত্মার প্রতি নানকের অচলা ভক্তি ছিল। যখন নানকের বয়স পাঁচ বৎসর, তখন তাহার পিতা তাহাকে বিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। নানক অল্প দিবসের মধ্যেই স্বীয় অসাধারণ শক্তি দ্বারা ংস্কৃত, পারসী ও গণিত-বিদ্যাতে বুৎপত্তি লাভ করেন। এরূপ কথিত আছে যে, তিনি নাকি কোন সময়ে শিক্ষক মহাশয়কে বলিয়াছিলেন,-