পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YNR জীবনী-সংগ্ৰহ। “শুন পাণ্ডে কেয়া লিখো জঞ্জাল । লিখে রাম নাম গুরুমুখ গোপালা ৷” হে পণ্ডিত ! কি বাজে আসার লেখা পড়া শিক্ষা দিতেছেন, গুরুমুখ দ্বারা একমাত্র রামগোপাল নাম শিক্ষণীয়। এক দিবস নানক নদীতে স্নান করিতে গিয়া দেখিতে পাইলেন যে, কয়েকজন ব্ৰাহ্মণ নদীতে মানাদি সমাপন করিয়া তৰ্পণ করিতেছেন । তখন তিনিও হস্তদ্বারা তীরস্থ ভূমিতে জলসেচন করিতে লাগিলেন। নানককে ঐ রূপ করিতে দেখিয়া ব্ৰাহ্মণগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি জল । লইয়া কি করিতেছ?” তাহাতে নানক বলিলেন, “আপনার জল লইয়া কি করিতেছেন, অগ্ৰে আমায় বলুন, তাহার পর আমি জল লইয়া কি করিতেছি বলিব।” ব্ৰাহ্মণগণ বলিলেন, “আমরা আমাদের পরলোকস্থ পিতৃপুরুষগণকে জলদান করিতেছি।” তখন নানক বলিলেন, “তালবণ্ডিতে আমার এক শাকের ক্ষেত্ৰ আছে, আমি তাহাতেই জল দিতেছি।” তদুত্তরে ব্ৰাহ্মণগণ বলিলেন, “তালবণ্ডিতে তোমার শাকের ক্ষেত্ৰ আছে, তথায় এ জল কিরূপে যাইবে ?” তখন নানক এই উত্তর করিলেন যে, “আমি এখানে জলসেচন করিলে সামান্য দূর তালবণ্ডিতে যাইবে না, যদি জানেন, তবে আপনারা এখানে জলসেচন করিলে, আপনাদের পরলোকস্থ পিতৃপুরুষগণ পাইবেন, একথা কিরূপে বিশ্বাস করেন ?” ননকের কথা শুনিয়া ব্ৰাহ্মণগণ বলিলেন, “বাপু হে, তোমার এখনও শিক্ষার অনেক বাকি। ইহা আমাদের মন্ত্ৰপুত জল, মন্ত্রবলে কত অলৌকিক কাৰ্য সম্পন্ন হইয়া থাকে, তাহা তোমার জানা নাই; সেইজন্যই তুমি আমাদিগকে ঐরূপ ভাবে পরিহাস করিলে।” নানক যখন বুঝিলেন যে, প্রকৃত পক্ষেই তাহার শিক্ষার অনেক বাকি আছে, তখন তিনি ধৰ্ম্মসংক্রান্ত পুস্তকসকল পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন।