পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S93 RtoRK5 R O ) হঠাৎ উত্তম পানীয় জলের আবির্ভাব হওয়ায়, তত্ৰত্য সকলেই উহাকে “অমৃত সােয়র” বলিত। অমৃত সােয়র হইতেই “অমৃতসর” নামের উৎপত্তি হইয়াছে। শিখদিগের চতুর্থ গুরু রামদাস ১৫৭৪ খৃষ্টাব্দে ঐ পুষ্করিণীকে বৃহদাকারে খনন করাইয়া তাহার মধ্যস্থলে একটী মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। ঐ মন্দিরকে শিখের “গুরু দরবার” বা "দরবার সাহেব” বলে । ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে আফগান আমেদস শিখদিগকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করিয়া অমৃতসর নগর ধ্বংস করে। মন্দির তোপে উড়াইয়া দেয় এবং গো-হত্যার দ্বারা সেই পবিত্ৰ স্থান কলঙ্কিত করে। ১৮০২ খৃষ্টাব্দে মহারাজ রণজিৎ সিংহ অমৃতসর অধিকার করেন এবং অনেক অর্থব্যয় করিয়া সেই মুসলমান-কলঙ্কিত পুষ্করিণী ও মন্দিরের উদ্ধারসাধন করেন। মন্দিরের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সমাপ্ত হইলে তিনি উহা সুবৰ্ণ-মণ্ডিত করিয়া দেন। সেই দিন হইতে ইহা “সুবৰ্ণ-মন্দির” নামে খ্যাত হইয়াছে। ইংরাজের ইহাকে “গোলডেন টেম্পল” বলিয়া থাকে।* অমৃত-সরোবর সুবিস্তীর্ণ, দীৰ্ঘে ও প্রস্থে সমান, সর্বদাই জলে পরিপূর্ণ থাকিয়া টলমল করিতেছে। ইহার চতুর্দিক শ্বেত-প্ৰস্তর দ্বারা গ্রথিত । ইহার মধ্যস্থলে মন্দিরটি বৃহৎ না হইলেও নিতান্ত ক্ষুদ্র নহে। মন্দিরের অতুল সৌন্দর্ঘ্যে মানবের মন বিমুগ্ধ হয়। তীর হইতে সরোবর-মধ্যস্থিত সুবৰ্ণ-মন্দিরে যাইতে একটী মৰ্ম্মরি-সেতু আছে। মন্দিরটিও মার্বেল প্ৰস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত। মন্দিরমধ্যে কয়েকটি প্রকোষ্ঠ। তাহার প্রধান ও বৃহৎ প্ৰকোষ্ঠে নানক, গুরুগোবিন্দ প্ৰভৃতি শিখগুরুদিগের রচিত ধৰ্ম্মগ্রন্থসকল রক্ষিত আছে। ঐ সকল গ্ৰন্থ বহুমূল্য আচ্ছাদনে আবৃত। শিখেরা অতি ভক্তিসহকারে ঐ গ্ৰন্থনিচয়ের পূজা করিয়া থাকে।

  • ইহার বিস্তারিত বিবরণ আমার “ভ্ৰমণ-কাহিনী নামক পুস্তকে প্রকাশ कब्रिसाद्ध छैछा अश्लि ।