পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

B) 8 জীবনী-সংগ্ৰহ। হীরা সিংহ, জেনারেল ভেঞ্চুরা, রাজা ধ্যান সিংহ, রণজিৎ সিংহের খাজাঞ্জি বলরাম মিশ্র প্রভৃতি বহু সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তি তথায় উপস্থিত হন। হরিদাস সমাধির পূর্বানুষ্ঠান শেষ করিয়া মহারাজা রণজিৎ সিংহকে এই কথা বলেন যে, “মহারাজ ! আমাকে চল্লিশ দিবসের পরদিনেই যেন মৃত্তিকা হইতে উত্তোলন করা হয়।” মহারাজ তাহাতে স্বীকৃত হইলে, হরিদাস যোগাবলম্বন করিলেন। যোগাসনে বসিবার অল্পক্ষণ পরেই ইহার বাহ্যজ্ঞান রহিত হইয়া যায়। তখন রণজিৎ সিংহের আজ্ঞায় বলরাম মিশ্র হরিদাসকে একটী কাষ্ঠের সিন্ধুকের মধ্যে রাখিয়া চাবিবন্ধ করিয়া দেন। ঐ সিন্ধুক পূর্বোল্লিখিত বারদ্বারীর মধ্যে গৰ্ত্ত খনন করিয়া পুতিয়া রাখা হয়। এত করিয়াও মহারাজের সন্দেহ মিটাল না। তিনি ঐ সমাধির উপর যাব বুনিতে, বারদ্বারীর দ্বার সকল ইষ্টক দ্বারা গাথাইয়া গৃহের চতুর্দিক বন্ধ করিয়া দিতে ও প্রহরী নিযুক্ত করিতে আদেশ করিলেন। এইরূপ অবস্থায় হরিদাসকে উনচল্লিশ দিবস পৰ্য্যন্ত মৃত্তিকামধ্যে রাখিয়া চল্লিশ দিবসের মধ্যাহ্নকালে সমাধিপ্ৰাপ্ত হরিদাসকে মৃত্তিকা খনন করিয়া উঠান হয়। যোগীকে উঠাইবার পূর্বে মহারাজ রণজিৎ সিংহ, পলিটিক্যাল এজেণ্ট কাপ্তেন ওয়েড, ডাক্তার ম্যাকগ্রেগর, ডাক্তার ম্যারে, জেনারেল ভেঞ্চুরা প্রভৃতি বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি ঐ স্থান পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করিয়া দেখেন; কিন্তু কেহই কোনরূপ সন্দেহজনক চিহ্ন দেখিতে পান নাই। বারদ্বারীর গ্রথিত প্ৰাচীর ভাঙ্গা হইলে সকলেই দেখিলেন, সমাধির উপর এক হস্ত পরিমিত যবের গাছ জন্মাইয়াছে। মৃত্তিকা খনন করিয়া সিন্ধুক পরীক্ষা করিয়া সকলেই দেখেন যে, উহা পূর্বের ন্যায় চাবি-বন্ধ রহিয়াছে। মহারাজের অনুমতিক্রমে বাক্সের চাবি খোলা হইলে সকলেই দেখিলেন, হরিদাস পূর্বের ন্যায় যোগাসনে বসিয়া আছেন। রেসিডেন্সী সার্জন ।