পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鹤 R90 জীবনী-সংগ্ৰহ। একে তোমার কফো নাড়ী, ডুব দিও না বাড়াবাড়ি। তোমার হ’লে পরে জর জাড়ি, যেতে হবে যমের বাড়ী ৷ অতিলোভে র্ত্যাতি নষ্ট, মিছে কষ্ট কেন করি। তুই ডুবিসনে মন ধরগে ভেসে, রাধা-শ্যামের চরণ-তরি। রামপ্ৰসাদ গাইতেছেন,- কাজ কি রে মন যেয়ে কাশী । কালীর চরণ কৈবল্য রাশি । সাৰ্দ্ধ ত্ৰিশ কোটী তীর্থ, মায়ের ও চরণবাসী। যদি সন্ধ্যা জান, শাস্ত্ৰ মান, কাজ কি হয়ে শ্মশানবাসী । হৃৎকমলে ভাব বসে, চতুভূজা মুক্তকেশী। রামপ্ৰসাদ এই ঘরে বসি, পাবে কাশী দিবানিশি৷ গোস্বামীর উত্তর,- পোসাদে তোরে যেতেই হবে কাশী । ওরে সেথায় গিয়ে দেখবিরে তোর মেসো আর মাসী ৷ ঘরে ব’সে থাকিস। যদি, ধ’রবে তোরে যক্ষ্মা কাশী। এই বেলা নে তলপি বেঁধে পথের সম্বল রাশি রাশি। রামপ্ৰসাদ তান্ত্রিক মতাবলম্বী সাধক ছিলেন, সুতরাং তিনি উপাসনার অঙ্গবোধে অল্প পরিমাণে সুরা-পান করিতেন, ইহাতে অনেকে তঁহাকে । মাতাল বলিত। কিন্তু তিনি তাহাতে ক্রুদ্ধ হইতেন না। এক দিবস তিনি পথিমধ্য দিয়া যাইবার সময়, কয়েক ব্যক্তির মুখে এই কথা শুনিলেন যে, “ওরে মাতালটাকে পথ ছেড়ে দে।” রামপ্ৰসাদ ইহা শুনিয়াই গাইতে আরম্ভ করিলেন,- ওরে সুরাপান করিনে আমি, সুধা খাই জয়কালী বলে, মন-মাতালে মাতাল করে, মদ-মাতালে মাতাল বলে,