পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नक्षक भूमिथनां । R\OS গুরুদত্ত গুড় লয়ে, প্ৰবৃত্তি মসলা দিয়ে, মা, আমার জ্ঞান-সুড়ীতে 'চুয়ায় ভাটী, পান করে মোর মন-মাতালে মূল মন্ত্র যন্ত্র ভরা, শোধন করি বলে তারা মা ; রামপ্রসাদ বলে এমন সুরা 'খেলে চতুৰ্ব্বৰ্গ মেলে। রামপ্রসাদ একবার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সহিত মুর্শিদাবাদ গিয়াছিলেন। তথায় তিনি ভাগীরথী-বক্ষে নৌকামধ্যে গান করিতেছিলেন। দৈবযোগে নবাব সিরাজদ্দৌলা নৌকা করিয়া তঁহারই নিকট দিয়া যাইতেছিলেন। তিনি রামপ্ৰসাদের গান শুনিতে পাইয়া তৎক্ষণাৎ তঁহাকে স্বীয় তরণীতে আনাইয়া গান করিতে আদেশ করিলেন। রামপ্রসাদ প্ৰথমে হিন্দি গান আরম্ভ করেন, তাহাতে নবাব বিরক্ত হইয়া রাজার নৌকায় যেরূপ গান হইতেছিল, সেইরূপ গান করিতে আদেশ করিলেন । ইহা শুনিয়া রামপ্ৰসাদ এমন সুন্দর শক্তিগুণ গান করিয়াছিলেন যে, তাহার করুণ-স্বরে নবাবেরও পাষাণ-হৃদয় দ্রব হইয়াছিল । রামপ্রসাদ শক্তির উপাসনা করিতেন। তিনি পঞ্চবটীর তলে পঞ্চমুণ্ডী আসন প্ৰস্তুত করিয়া তাহাতে বসিয়া সাধনা করিতেন। ঐ আসন আজও বৰ্ত্তমান । রামপ্রসাদ সম্বন্ধে অনেক অলৌকিক প্ৰবাদ প্রচলিত আছে, তন্মধ্যে যেগুলি অনেকে বিশ্বাস করেন, নিম্নে তাহার কয়েকটী প্ৰকাশ করিলাম। রামপ্রসাদ স্বহস্তে অন্নপাক করিয়া নৃমুণ্ডমালিনী কালিকাদেবীকে উৎসর্গ করিবামাত্র, তিনি শিবারূপ ধারণ করিয়া তাহার নিকটে আসিয়া অন্নগ্ৰহণ করিয়াছিলেন । এক দিবস রামপ্ৰসাদ বেড়া বঁধিতেছিলেন ও আপন মনে শু্যামাসঙ্গীত গান করিতেছিলেন। বেড়ার অপর পাশ্বে থাকিয় তাহার কন্যা জগদীশ্বরী তঁহাকে সাহায্য করিতেছিলেন। জগদীশ্বরী কখন সেই স্থান হইতে