পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । Sዓ Trwrw wav-walkerwax yeux Talys করিতে পারে,” এইরূপ চিন্তায় সিদ্ধার্থের মন অহােরাত্র বিলোড়িত হইতে থাকে। এক দিবস অপরাহ্রে সিদ্ধার্থ শকটারোহণে রাজবাটীর উত্তর দ্বার দিয়া ভ্ৰমণে বহির্গত হইয়াছেন, এরূপ সময়ে দেখিলেন, এক জন বৃদ্ধ গমন করিতেছে। উহার কেশরাশি পলিত, দেহের চৰ্ম্ম লোল, হস্ত পদাদি শিথিল, দন্তগুলি স্বলিত, এবং দেহ অৰ্দ্ধভগ্ন। সে আপনার দেহের ভার একগাছি যষ্টির উপর রাখিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে অতিকষ্টে গমন করিতেছে। উহার ঐ রূপ অবস্থা দেখিয়া যুবরাজ গৌতমের মন সহসা আকুল হইয়া উঠে। তিনি সোৎসুকচিত্তে সারথিকে জিজ্ঞাসা করেন, “ছন্দক ! এ কোন জীব ? ইহা ত আমি কখনও দেখি নাই?” গেীতমের কথা শুনিয়া সারথি বিনীতভাবে উত্তর করে, “যুবরাজ ! ঐ ব্যক্তি স্থবির। উনি বর্গ কি ; /* ; উপস্থিত হইয়াছেন। বাৰ্দ্ধক্যে দেহে আর সামর্থ্য থাকে না, ইন্দিয়নিচয় ক্রমে হীনবীৰ্য্য হইতে থাকে। দেহীমাত্রেই এই গতির অধীন।” সারথির মুখে ঐ সকল কথা শুনিবা মাত্র সিদ্ধার্থের চিত্ত-চাঞ্চল্য উপস্থিত হয়। তিনি আর স্থির থাকিতে না। পারিয়া ছন্দককে বলেন, “উঃ আমরা কি মুঢ়া! যৌবন-মদে মত্ত হইয়া এ শরীরের পরিণাম একবার ও ভাবিয়া দেখি না । আমার আর ভ্ৰমণে প্রয়োজন নাই, বাটী প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কর।” সিদ্ধার্থ গৃহে আসিয়া গাঢ় চিন্তায় নিমগ্ন হন । এই ঘটনার কয়েক দিবস পরে, সিদ্ধার্থ প্ৰমোদ-উদ্যানে যাইবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন। ছন্দক পূর্বেই কুমারের মনোভাব বুঝিতে পারিয়াছিল, সেইজন্য সে, সে দিবস সুসজ্জিত রথ রাজবাটীর দক্ষিণ তোরণাভিমুখে রাখিয়া দিয়াছিল। কুমার ঐ দক্ষিণ তোরণ দিয়া প্ৰমোদ-কাননে যাইবার সময় পথিমধ্যে দেখেন, এক ব্যক্তি পথিপার্থে বসিয়া মুহুমুহুঃ বামন ও জী-২