পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আউল চাদ। SVS কোন প্রকার ক্লেশ হইলেও সে তাহা সহ্ করিতে পারিত, কিন্তু ধৰ্ম্মলোচনার ব্যাঘাতজনিত বৰ্ত্তমান ক্লেশ তাহার একান্ত অসহ্য হইয়া উঠিল। ক্রমে সে মৰ্ম্মপীড়ায় ব্যথিত ও কাতর হইয়া মহাদেবের আশ্রয় পরিত্যাগ করাই সর্বতোভাবে শ্রেয়স্কর বলিয়া বোধ করিল। অবশেষে উপায়ান্তর না দেখিয়া মহাদেবের আলয় পরিত্যাগ করিয়া হরিহরের আশ্রয়গ্ৰহণ করিল। উভয়ে পরস্পর মিলিত হইয়া সুখে কালাতিপাত করিবার কিছু দিবস পরে হরিহর পূর্ণচন্দ্ৰকে গাৰ্হস্থ্যধৰ্ম্ম অবলম্বন করিতে বলেন। পূৰ্ণচন্দ্ৰ তাহাতে অমত প্ৰকাশ করিয়া বলিয়াছিল, “গাৰ্হস্থ্যধৰ্ম্ম পরিগ্ৰহ করিয়া, সতত সাধনকণ্টক পুত্ৰকলাত্ৰাদিতে পরিবৃত থাকিয়া ও তাঁহাদিগের সুখ-স্বচ্ছন্দতার জন্য আত্মসুখ বিসর্জন ও ন্যায়ান্তায় বিচার পরিহারপূর্বক, নানাপ্রকার ঘুণিত বৃত্তি ও ব্যবসায় অবলম্বন করতঃ নিয়ত বিড়ম্বিত হইতে আমার ইচ্ছা নাই। মানবজন্ম পরিগ্ৰহ করিয়া যে ব্যক্তি ভোগবাসনাকে বিষবৎ পরিত্যাগ করিতে না পারিল, তবে তাহার জীবনধারণ বিড়ম্বনামাত্র।” ১৬২৩ শকের চৈত্রমাসে, পূর্ণচন্দ্ৰ হরিহরের আশ্রয় ত্যাগ করিয়া বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণে একাগ্ৰচিত্ত হইয়া ফুলিয়াগ্রামে আগমন করেন। ফুলিয়াগ্রাম শান্তিপুরের অতি নিকটে, রাঢ়ী শ্রেণীর কুলীন ব্ৰাহ্মণদিগের আদিম বাসস্থান ; সুবিখ্যাত ফুলিয়ামেল এই গ্রামের নামানুসারেই হইয়াছে। এই স্থানেই শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর প্রিয়শিষ্য হরিদাসের পাট আজও বিদ্যমান আছে। ১২৬৭ সালে ফুলিয়া ও বেলগড়িয়ায় ম্যালেরিয়া জ্বরের প্রাদুর্ভাব হওয়ায়, অনেকে অকালে কালকবলে পতিত হয়। সেই অবধি ফুলিয়া একেবারে শ্ৰীভ্রষ্ট হইয়া গিয়াছে। এই গ্রামে বহুসংখ্যক ব্ৰাহ্মণ ও বৈষ্ণবের বাস ছিল এবং অধিকাংশ অধিবাসী