পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV8 জীবনী-সংগ্ৰহ। ছিলেন। সময়ে সময়ে তিনি এই ব্যাধির যন্ত্রণায় মূচ্ছিত হইয়া পড়িতেন। একদা তাহার কাছারীতে আউলচাদ আসিয়া উপস্থিত হন। ঐ সময়ে রামশরণ শূলা-বেদনায় মূৰ্ছিত হইয়া পড়িয়া অশেষবিধ যন্ত্রণাভোগ করিতেছিলেন। রামশরণের অবস্থা দেখিয়া আউলচাদ তাহান্ন ভূত্য ও পরিবারবর্গের নিকটে এরূপ দুৰ্দশা ও মূৰ্ছার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। ভৃত্যদিগের মুখে রামশরণের আমূল বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া, তিনি আপনি কমণ্ডলু হইতে কিছু জল লইয়া তাহার চক্ষে ও মুখে দেন। ইহার অল্পক্ষণ পরেই রামশরণ সকল যন্ত্রণা হইতে মুক্ত হইয়া চৈতন্যলাভ করেন। সেই অবধি রামশরণ ইহাকে গুরু বলিয়া ভক্তি করিতেন। এই রামশরণের দ্বারাই আউলচাদের মতপ্রচারিত হয়। আউলৰ্চাদের মৃত্যুঘটনা অতি আশ্চৰ্য্যজনক। ১৬৯১ শকের বৈশাখ মাসে দিব্যাবসানে বোয়ালিয়া গ্রামে ইনি দেহত্যাগ করেন। এক দিবস বোয়ালিয়া হইতে সংবাদ আসিল যে, তাহার প্রিয়শিষ্য কৃষ্ণদাসের অন্তিমকাল উপস্থিত, সে কেবল গুরুদৰ্শন-আশাতেই বঁাচিয়া আছে। এই সংবাদ প্ৰাপ্ত হইবামাত্ৰ আউলচাদ ব্যস্ত-সমস্ত হইয়া শিষ্যদিগকে বলিলেন, “তোমরা জনকতক আমার সঙ্গে আইস, আমারও আয়ু শেষ হইয়া আসিয়াছে। বোয়ালিয়া হইতে আমি আর প্রত্যাগমন করিতে পারিব না,” এই কথা বলিয়া তিনি খেলাত ও কস্থা গাত্ৰে দিয়া কয়েকজন শিষ্য-সমভিব্যাহারে বোয়ালিয়া গমন করেন। তিনি বোয়ালিয়া পৌছিয়াই জরাক্রান্ত হইয়া যে শয্যায় শয়ন করিলেন, তাহা হইতে আর উঠিলেন না। আউলচাদ যখন বুঝিলেন, র্তাহার সময় নিকটবৰ্ত্তী হইয়া আসিয়াছে, তখন তিনি শিষ্যদিগকে বলিলেন, “আমায় বহিঃপ্রাঙ্গণের তুলসীতালে লইয়া চল, আর তোমরা সকলে উচ্চৈঃস্বরে সুধাময় হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তন কর,” শিষ্যেরা তাহাই করিল। হরিনাম শুনিতে শুনিতে ও জড়িত