পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আউলচাদ । Ret কণ্ঠে হরিনাম উচ্চারণ করিতে করিতে ভক্তচূড়ামণি আউলৰ্চাদের প্রাণবায়ু বহিৰ্গত হইল। আউলচাদ দেহরক্ষা করিলে, শোকাকুল শিষ্যমণ্ডলী তাহার মৃতদেহ বহন করিয়া পরারি গ্রামে লইয়া যাইয়া সমাধি দেন এবং তঁহার গাত্রের কঁথাখানি বোয়ালিয়াগ্রামে প্রোথিত করা হয়। আবার কেহ বলেন যে, তাহা নহে ; জীবিতাবস্থায় প্ৰভু তঁহার জীর্ণ কঁথাখানি রামশরণ পালকে দিয়া গিয়াছিলেন। ঐ কঁথা আজও উহাদিগের গৃহে বর্তমান আছে। রামশরণ পাল গুরুর উপযুক্ত শিষ্য ছিলেন। প্রভুর সমাধিকাৰ্য শেষ হইলে, তিনি নিজ গ্রামে ঘোষপাড়ায় আসিয়া অন্যান্য শিষ্য ও বৈষ্ণবদিগকে আমন্ত্রণপূর্বক একটী মহােৎসব করেন এবং ঐ সম্প্রদায়ের একমাত্র চালক হন। কিয়দিবস পরে তঁহার মৃত্যু হইলে, সমগ্ৰ আউলভক্তেরা একত্রিত ও একমত হইয়া তদীয় বংশধর ঈশ্বরচন্দ্ৰ পালকে সমস্ত ভারার্পণ করেন। ইহার লোকান্তরের পর ইহার পুত্ৰ হরিদাস পাল ও ভ্রাতৃপুত্র রসিকচন্দ্ৰ পালমহাশয়েরা সম্প্রদায়ের সকল ভার গ্ৰহণ করিয়াছেন। রামশরণের সহধৰ্ম্মিণী সাতিশয় পতিপ্ৰাণা ও শুদ্ধাচারিণী ছিলেন। আউলচাদ তঁহাকে মাতৃসম্বোধন করিতেন। র্তাহার। ভক্তেরা তঁহাকে সতী-মা বলিয়া ডাকিত। সন্তা-মারি সতীত্ব-গৌরব, আজও বঙ্গদেশের প্ৰায় সর্বত্রে দেদীপ্যমান রহিয়াছে। আউলচাদ নবাগত শিষ্যদিগকে যথাবিধি মন্ত্র প্রদান করিয়া, কায়িক বাচনিক ও মানসিক দশটী কৰ্ম্ম করিতে নিষেধ করিতেন, তৎপরে কয়েকটা সদুপদেশ দিতেন। তিনি বলিতেন —“একমাত্র পরম চৈতন্যস্বরূপী ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের ভজনা করিবে ; অথচ অন্যান্য দেবতা দিগকে নিন্দা করিবে না। মন্ত্র