পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-সংগ্ৰহ। بهاR۲ হিরণ্যাদাস ও গোবৰ্দ্ধন দাস দুই সহোদর। হিরণ্য জ্যেষ্ঠ, গোবৰ্দ্ধন কনিষ্ঠ। কনিষ্ঠ গোবৰ্দ্ধন দাসের ঔরসে ১৪১৭ বা ১৮ শকে রঘুনাথ জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চম বৎসর বয়সে ইহার বিদ্যারম্ভ হয় ও বিদ্যাশিক্ষার জন্য সপ্তম বর্ষ হইতে তিনি গুরুগৃহে গমন করেন। চাদপুর নামক একটী পল্লী সপ্তগ্রামের অন্তৰ্গত ছিল। ইহাদের কুল-পুরোহিত বলরাম আচাৰ্য্য ঐ পল্লীতে বাস করিতেন। বালক রঘুনাথ ঐ কুল-পুরোহিতের নিকটেই বিদ্যাভ্যাস করিতে যাইতেন। রঘুনাথের বয়স যখন দ্বাদশ বৎসর, সেই সময়ে হরিদাস নামক একজন যবান হিন্দুধৰ্ম্মের হরিনাম মহামন্ত্র গ্ৰহণ করায় এবং উহা জপ ও উহাতে উন্মত্ত হওয়ায়, দুৰ্ব্বত্ত জমিদারের অত্যাচারে ও কাজির প্রহারে উৎপীড়িত হইয়া উক্ত বলরাম আচাৰ্য্যের আশ্রয় গ্ৰহণ করেন । হরিদাস, আচাৰ্য্য মহাশয়ের আশ্রয় পাইয়া নির্বিঘ্নে হরিনাম সাধনা করিতে লাগিলেন । হরিদাস, হরিনাম-রাসে মাতোয়ারা হইয়া, ভাবাবেশে উন্মত্তের ন্যায় নৃত্য করিতেন বলিয়া সকলেই তঁহাকে পাগল বলিত। আচাৰ্য্য মহাশয়ের গৃহে যে সকল বালক অধ্যয়ন করিতে যাইত, তাহাদের মধ্যে প্ৰায় সকলেই হরিদাসকে পাগল মনে করিয়া তাহার গায়ে ধূলা, কাদা, গোবর প্রভৃতি দিত, এবং পাগল পাগল বলিয়া ক্ষেপাইবার চেষ্টা করিত, কিন্তু বালক রঘুনাথ প্রত্যহ ভক্তমুখে পরিত্রাণ পদ।। হরিনাম শ্রবণ করায় তাহার হৃদয়ে একটী নূতন ভাবের উদয় হয়। লেখাপড়ায় রঘুনাথের আর তেমন যত্ন রহিল না, তিনি আচাৰ্য্য মহাশয়ের অনুপস্থিতিকালে হরিদাসের নিকটে গিয়া তাহার রঙ্গভঙ্গ দেখিতেন ও নামগানে যোগদান করিতেন। গোবৰ্দ্ধনদাসের সুহৃদবর্গ ও আত্মীয়স্বজনেরা রঘুনাথের এইরূপ অবস্থা দেখিয়া সকলে বল বলি করিত, “এই ভণ্ড মুসলমানটা একটী ভদ্রলোকের একমাত্র বংশের