পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুনাথ দাস। RV তিলক ছেলেটিকে পাগল করিতেছে।” ক্ৰমে উহাদিগের উৎপীড়নে হরিদাস সপ্তগ্রাম পরিত্যাগ করিয়া শান্তিপুরে আসিয়া বাস করেন। হরিদাস সপ্তগ্রাম ত্যাগ করিয়া আসিলেন বটে, কিন্তু তাহাতে রঘু নাথের মনোভাব পরিবৰ্ত্তিত হইল না। তিনি বয়োবৃদ্ধি সহকারে অন্যান্য কাৰ্য্যের ন্যায় ধৰ্ম্মালোচনাতেও সময় কাটাইতেন । বাল্যকাল হইতেই ংসারিক সুখবিলাসের প্রতি ইহার বিতৃষ্ণ জন্মিয়াছিল। সুন্দর পরিচ্ছদ ও বহুমূল্য অলঙ্কারাদি, সুখসেব্য বস্তু, সুস্বাদু খাদ্য, চাটুকারদিগের তোষামোদ, দাসদাসীদিগের সেবা ইত্যাদি ধনী সন্তানের যাহা কিছু আসক্তির বিষয়, ইনি সে সমস্ত বিষবৎ পরিত্যাগ করিয়া বৈরাগ্যে পরম সুখসম্ভোগ করিতেন। যে সময়ে চৈতন্যদেব শান্তিপুরে ছিলেন, সেই সময়ে রঘুনাথ তথায় উপস্থিত থাকিয়া সাধুসহবাসে কালব্যাপন করিতেন এবং মনে মনে বলিতেন, “হে দয়াময় হরি ! আমি কি রকমে এই সংসার-কারাগার হইতে মুক্ত হইয়া আজীবনকাল সাধুসহবাসে জীবন কাটাইতে পারিব ? মহাপ্ৰভু চৈতন্যদেব রঘুনাথের মনোভাব বুঝিতে পারিয়া শান্তিপুর পরিত্যাগ করিবার সময়ে রঘুনাথকে এই উপদেশ দিয়া যান যে,— “লোকে একবারে ভবাসিন্ধু পার হইতে পারে না । বৈরাগ্য অতি পবিত্ৰ বস্তু, ইহাকে অতি যত্নে রক্ষা করিতে হয়। পরকে দেখাইবার জন্য যে ব্যক্তি বৈরাগ্যভােব ধারণ করে, তাহার সেই বাহ ভাবে সমস্ত ধৰ্ম্ম বিনষ্ট হয়। যে সাধক বাহিরে বিষয়ভোগ করিয়া অন্তরে সম্পূৰ্ণ বৈরাগ্য আচরণ করে, সেই যথাৰ্থ বৈরাগী। বৎস, তুমি এখন গৃহে গমন করিয়া অনাসক্তভাবে বিষয়ভোগ কর, অন্তরে প্রকৃত নিষ্ঠা রক্ষা করিয়া বাহিরে লোকের সহিত রীতিমত লৌকিক ব্যবহার করা। ইহাই ধৰ্ম্মানুরাগীর প্রকৃত লক্ষণ। তুমি এই মত কাৰ্য্য করিলে ঈশ্বর