পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R জীবনী-সংগ্ৰহ । DDD DBDBB SBDS DBBBD DBDDDBS SKBD DDDBD sBD করিলেন। ভক্ত বৈষ্ণবদিগের নিকট প্ৰসােদান্ন অপেক্ষা অমূল্য বস্তু আর নাই, যে রঘু গৌরাঙ্গের দর্শনলালসায় মৃতপ্ৰায় হইয়াছিলেন, আজ র্তাহার প্রসাদান্ন ভোজনের অধিকারী হইলেন । রঘুনাথ ক্ৰমান্বয়ে পাঁচ দিন গুরুর প্রসাদ ভোজন করিবার পর মনে মনে এইরূপ ভাবিলেন যে, “মহাপ্ৰসাদ আহারের জন্য নয়, আত্মার পরিত্রাণার্থ গ্ৰহণ করা উচিত। তবে আমি কি করিতেছি । দেহের পুষ্টি হেতু এই পবিত্র বস্তুর অপব্যবহার করিলে নিশ্চয় আমি অধিকতর অপরাধী হইব ; অতএব এরূপ করা আমার পক্ষে কোন মতেই উচিত নয়।” এইরূপ যুক্তি স্থির করিয়া, তিনি ষষ্ঠ দিবসে সমুদ্রে স্নানান্তে গুরুদেবকে প্ৰণাম করিয়া জগন্নাথদর্শনে গমন করিলেন। তথায় তিনি সমস্ত দিবস মন্দিরের দ্বারে দাড়াইয়া নামসাধন করিয়া সন্ধ্যার পর কুটীরে প্ৰত্যাগমন সময়ে দোকান হইতে ভিক্ষা করিয়া ভোজন করিতে লাগিলেন। এদিকে গোবিন্দ, রঘুনাথ আর প্রসাদ পাইতে আইসেন নাই দেখিয়া তাহার তত্ত্ব লইল এবং যথাযথ সমস্ত গৌরাঙ্গকে নিবেদন করিল। গোবিন্দের মুখে ঐ সকল কথা শ্রবণ করিয়া চৈতন্যদেবের আর অহলাদের সীমা রহিল না। একজন অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি সমস্ত দিবস দেবমন্দিরের দ্বারদেশে দণ্ডায়মান থাকিয়া নামসাধনা করিতেছেন, নিজের আহারের জন্য কোন চেষ্টা নাই, সামান্য ভিক্ষান্নে আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে করিতেছেন, ইহা অপেক্ষা অতুলনীয় বৈরাগ্যের দৃষ্টান্ত আর কোথায় ? কয়েকদিবস পরে রঘুনাথ, মন্দির-দ্বারে ভিক্ষার্থ দণ্ডায়মান থাকা উচিত নয়, ইহা বিবেচনা করিয়া ঐ রীতি পরিত্যাগ করিলেন এবং যথাকালে অন্নছত্ৰে যাইয়া, ভিক্ষান্ন ভোজন করিয়া দেহরক্ষা করিতে লাগিলেন।