পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুনাথ দাস। S ዓ S নিত্যানন্দ রঘুনাথের এই প্রকার কাতর বৈরাগ্যোক্তি শ্রবণ করিয়া ভক্ত দিগকে সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিলেন, “দেখ দেখ, ইহার বাদশাহের তুল্য ক্ষমতা, কুবেরের তুল্য ধন, ইন্দ্রের তুল্য ঐশ্বৰ্য্য ! যাহার কিছুমাত্ৰ পাইবার জন্য শত শত লোক ইহ-পরকাল বিস্মৃত হইয়া কতই না ঘূণিত কাৰ্য্য করে ; আর ইনি সেই সকল তুচ্ছ জ্ঞান করিয়া বিষবৎ পরিত্যাগ করিয়াছেন। সেই অতুল ঐশ্বৰ্য্য ইহাকে কিছুমাত্ৰ সুখ দিতে পারিতেছে না। রঘুনাথ! আমরা সকলেই আশীৰ্ব্বাদ করিতেছি, তুমি cङभांत ब्रुिदक्ष्ऊि दळु घरे थांशु रु७ ।” রঘুনাথ ভক্তগণের আশীৰ্ব্বাদ প্রাপ্ত হইয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন এবং উৎকট ব্ৰত অবলম্বন করিয়া নাম-জাপের দ্বারা দিনযাপন করিতে লাগিলেন। কয়েক বৎসরকাল এইরূপ অতিবাহিত হইবার পর একদিন তিনি অৰ্দ্ধারাত্রে অতুল ঐশ্বৰ্য্য, লক্ষ্মীসমা ভাৰ্য্যা, স্বৰ্গাদপি গরীয়সী। জননীর হৃদয়ে শেলবিদ্ধ করিয়া, আকাশ অপেক্ষাও মহোচ্চ পিতৃদেবকে নিরাশ-সাগরে ডুবাইয়া, আপনার অভিলষিত দ্রব্যলাভের আশায় শ্ৰীক্ষেত্ৰাভিমুখে গমন করেন। রঘুনাথ বহুকষ্টে, বহু পরিশ্রমে, অনাহারে ও অনিদ্রায় কয়েক দিবস পথ চলিয়া পুরীধামে উপস্থিত হন। পরে চৈতন্যদেব হইতে একে একে সমস্ত ভক্তবৃন্দকে প্ৰণাম করিলে সকলেই প্ৰেমান্দ্রভাবে তাহাকে আলিঙ্গন করেন । রঘুনাথ পথে কি প্রকার কষ্টভোগ করিয়া আসিয়াছিলেন, চৈতন্যদেব তাহা জানিতে পারিয়া আপনার পরিচারক গোবিন্দকে ডাকিয়া বলিলেন, “দেখ, রঘুনাথ পথে অত্যন্ত কষ্ট পাইয়াছে, অনেক উপবাস করিয়াছে, তুমি কিছুদিন ইহার প্রতি দৃষ্টি রাখিও।” সেই সঙ্গে রঘু নাথকেও বলিলেন, “তুমি সমুদ্রে স্নান করিয়া এইখানে আসিয়া ভোজন করিও।” রঘুনাথ স্নান ও দেবদর্শনাদিক্রিয়া সমাপন করিয়া গোবিন্দের