পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । RS ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। রাজাকে নূতন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতে দেখিয়া শত শত প্ৰজা তাহার অনুসরণ করেন। বুদ্ধদেব এইরূপে কত ব্যক্তির অনুরাগ ও কত ব্যক্তির বিরাগভাজন হইয়া মহোৎসাহে নব-ধৰ্ম্মের নূতন তত্ত্ব ঘোষণা করিতে থাকেন। ক্ৰমে দেশ-বিদেশে ইহার নাম ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। মহারাজ শুদ্ধোদন, পুত্র “বুদ্ধ’ অর্থাৎ দিব্যজ্ঞান প্ৰাপ্ত হইয়াছেন শুনিয়া, তাহাকে কপিলবস্তুতে আনিবার জন্য আট জন দূত প্রেরণ করেন ; কিন্তু তাহারা শাক্যসিংহের উপদেশের মোহিনীশক্তিতে মুগ্ধ হইয়া তাহার নব-প্রচারিত ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন। ঐ দূতদিগের মধ্যে সিদ্ধার্থের সংবাদ লইয়া কেহ স্বদেশে প্রত্যাগমন করেনকেহ বা তাহার সহিত বাস করেন। ঐ দূতাদিগের মধ্যে চর্ক নামক রাজমন্ত্রী মগধ হইতে প্ৰত্যাগত হইয়া, মহারাজ শুদ্ধোদনকে পুত্রের কুশলসংবাদ প্ৰদান করিয়া এই কথা বলেন, “মহারাজ ! সিদ্ধার্থ আর রাজবাটীতে অবস্থান করিবেন না-আপনি তাহার বাসের জন্য একটিী মঠ প্ৰস্তুত করাইয়া রাখুন। তিনি তিন-চারি মাসের মধ্যেই এই স্থানে আগমন করিবেন । মন্ত্রীর কথায় তিনি ন্যগ্রোধ নামক স্থানে একটী সুরম্য মঠ নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখেন । সিদ্ধাৰ্থ মগধ্যে আপন উদ্দেশ্য সাধন করিয়া পিতার মনােবাঞ্ছা পূর্ণ করিবার জন্য কপিলবস্তু নগরে যাত্রা করেন। তিনি স্বদেশে আসিয়া উপস্থিত হইলে, সহস্ৰ সহস্ৰ ব্যক্তি র্তাহাকে দর্শন করিবার জন্য তথায় আসিয়া উপস্থিত হন। মহারাজ শুদ্ধোদন বহুকাল পরে পুত্ৰ-মুখ-দর্শনে অপাের আনন্দলাভ করেন ও রাজবাটীতে পুত্রকে বসবাস করিতে বলেন, কিন্তু সিদ্ধাৰ্থ অসম্মতি প্ৰকাশ করেন। সিদ্ধাৰ্থ কপিলবস্তুতে উপস্থিত হইয়া, রাজভবনে পদাৰ্পণ না করিয়া পিতার নিৰ্ম্মিত মঠে বাস করেন এবং অযাচিত দান প্ৰাপ্তি দ্বারা জীবিকা নিৰ্বাহ করেন।