পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\) o জীবনী-সংগ্ৰহ । বহুকাল পরে স্বামী দেশে আসিয়াছেন শুনিয়া, গোপ স্বামীসন্দর্শনের জন্য দুইজন পরিচারিকার সহিত ন্যগ্রোধের মঠে গমন করেন। তথায় তিনি প্ৰাণাপেক্ষ প্রিয়তম স্বামীকে মুণ্ডিতমস্তক এবং গৈরিক, বসনে ভূষিত দেখিয়া, কথা বলিবেন কি কঁাদিয়াই আকুল হন। গোপার সঙ্গিদ্বয়ের মধ্যে একজন সিদ্ধার্থকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “দেব ! যে দিবস হইতে আপনি গৃহ পরিত্যাগ করিয়াছেন, সেই দিবস হইতে আপনার পত্নী এই যৌবনাবস্থায় কঠোর ব্ৰহ্মচৰ্য্যব্রত অবলম্বন করিয়া, অনাহারে অনিদ্রায় কোনরূপে দিনযাপন করিতেছেন। ইহার অনন্তক্লেশ দেখিলে পাষাণও গলিয়া যায়। অনেকেই ইহাকে এই কাৰ্য্য হইতে নিরস্ত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু কোন ফলোদয় হয় নাই।” বুদ্ধদেব নিৰ্ব্বাক হইয়া পত্নীর দুঃখ-কাহিনী শ্রবণ করেন, পরে তঁহাকে ধৰ্ম্মের অমৃত কথা শ্রবণ করাইয় তাহার শোক-দগ্ধ হৃদয়কে সাস্তুনা করেন। গোপা আত্মসংযম করিলে সিদ্ধার্থ তাহাকে নিজ ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়া লন । এক দিবস গোপা তাহার পুত্র রাহুলকে সুসজ্জিত করিয়া বলেন, “বৎস, রাহুল ! তুমি তোমার পিতার নিকট গমন করিয়া তোমার পৈতৃক সম্পত্তির বিষয় জানিয়া আইসি।” রাহুল মাতৃবাক্যানুসারে একজন পরিচারিকার সহিত রাজবাটীর নিকটস্থ ন্যগ্ৰোধ-মঠে গমন করেন। তিনি পিতাকে প্ৰণাম করিয়া বলেন, “পিতঃ ! অদ্য আমি আপনাকে সন্দর্শন করিয়া ধন্য হইলাম। পিতঃ ! আমাকে পৈতৃক-সম্পত্তির বিষয় বিবৃত করুন। আমার জননী আপনার নিকট হইতে পৈতৃক সম্পত্তির বিষয় জানিয়া লইতে বলিয়া দিয়াছেন।” বুদ্ধদেব, পুত্রের কথা শ্রবণ করিয়া তাহার সহিত তৎসময়োচিত অন্যান্য কথোপকথন দ্বারা পৈতৃক বিষয়-সম্পত্তির কথা চাপিয়া রাখিয়া দেন ; কিন্তু পুত্র বারম্বার পৈতৃক বিত্তের কথা জিজ্ঞাসা করিতে থাকায়, তিনি সরীপুত্ৰ নামক