পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । v)) శాu* ནིལ་ལྡན་ হইতে সর্ষপ আনিলে ঔষধের কার্য্য নিস্ফল হইবে।” কৃষ্ণ বুদ্ধের উপদেশ মত সর্ষপ আনিতে গমন করেন। পুত্রের জীবন পাইবার আশায়, তিনি লোকলজ্জা, মানসন্ত্রম, সকল ভুলিয়া গিয়া পাগলিনীর ন্যায় সকল গৃহস্থের দ্বারে দ্বারে, পল্লীতে পল্লীতে নগরে নগরে, এক মুষ্টি সর্ষপের জন্য ঘুরিয়া বেড়ান, কিন্তু বুদ্ধের উপদেশ মত সর্ষপ কোথাও আর সংগ্ৰহ করিতে পারিলেন না। তিনি যে গৃহে যাইয়া সর্ষপ প্রার্থনা করেন, গৃহবাসীরা রাশি রাশি সর্ষপ আনিয়া তাহাকে দেন ; কিন্তু যখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের গৃহে দাস, দাসী পুত্র, পৌত্র, কুটুম্বাদির মধ্যে কাহারও কখন মৃত্যু হইয়াছে কি না ? তখন কেহ বলে, আমি সন্তান হারাইয়াছি, কেহ বলে, আমার স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে, আমার দাস দাসী কালগ্ৰাসে পতিত হইয়াছে। সকল গৃহেই এইরূপ শোকবাৰ্ত্তা শ্রবণ করিয়া বুদ্ধের আদেশানুযায়ী সর্ষপ সংগ্ৰহ করিতে না পারিয়া, কৃষ্ণ বিষন্ন বদনে বুদ্ধের নিকট প্রত্যাগত হন। কৃষ্ণা বুদ্ধের নিকট আসিলে তিনি তঁহাকে জিজ্ঞাসা করেন, “বৎসে ! সর্ষপ আনিয়াছ ?” কৃষ্ণ বিষাদিতান্তঃকরণে বলেন, “না প্ৰভু! আপনার উপদেশ মত সর্ষপ কোথাও পাইলাম না।” তখন তিনি তঁহাকে বলেন, “কাল যে কেবল তোমার পুত্ৰকেই হরণ করিয়াছে, তাহা নহে, এরূপ অনেক জননী তোমার মত পুত্ৰহীন হইয়া শোক-সাগরে ভাসিতেছে। বৎসে ! তুমি শোকতাপ পরিত্যাগ করিয়া জরাব্যাধির হস্ত হইতে পরিত্ৰাণ লাভ কর।” বুদ্ধের উপদেশ-বাক্যে, কৃষ্ণ পুত্ৰশোক বিস্মৃত হইয়া বলেন, “প্ৰভু! আমি আপনার শরণাপন্ন হইলাম। : বুদ্ধদেবও তাঁহাকে আপনার নব-প্রচারিত ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। এক দিবস বুদ্ধদেব করাঙ্ক-হস্তে ভিক্ষা করিতে করিতে ভরদ্বাজ নামক একজন বণিকের গৃহে অসিয়া উপস্থিত হন। ভরদ্বাজ, বুদ্ধদেবকে ভিক্ষা করিতে দেখিয়া তাহাকে সম্বোধন করিয়া এই কয়েকটী কথা বলেন, “ওহে [-- 9