পাতা:জীবনের ঝরাপাতা.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঘেরাও হয়ে। কেলকারের কাছে আমার কথা শুনবামাত্র তিনি তাঁর এত কাজ সত্ত্বেও এসেছেন।

 আমার সমস্যা আমি তাঁকে বললুম—শেষে প্রশ্ন করলুম—‘‘আপনি কি যুবকদের ডাকাতির অনুমোদন করেন?”

 খুব জোর দিয়ে বললেন—“একেবারেই না। এ বিষয়ে ধর্মের দিক থেকে দুর্নীতি-সুনীতির কথা না তুলে শুধু রাজনৈতিক দিক থেকেই বলছি, পুণা-যুবকদের ডাকাতির অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি—এ-কাজ একেবারে নিরর্থক, নিষ্ফল। ধরা পড়বেই। আর দেশের লোককে খুন করে টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে দেশের লোককেই নিজেদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলবে। আমার এ বিষয়ে অনুমোদন একেবারে নেই—আপনি মুক্তঘরে সেখানে গিয়ে এ-কথা ঘোষণা করতে পারেন। যারা আমার নাম নিয়ে এ আদেশ প্রচার করছে তারা ঠায় মিথ্যে কথা বলছে।”

 আমি তাঁর কথায় আশাতীত আনন্দলাভ করলুম। সেই পর্যন্ত তিনি আমার পুজ্য হলেন। নেতার মতন নেতা বটে। হাল্কা মনে কেলকারের আয়োজিত ভোজ্যবস্তুর ‘বাসুন্দি’ ও ‘শ্রীখণ্ডে’র প্রতি বিশেষ করে অবহিত হলুম। তারপর বম্বেতে আট-দশ দিন কাটাতে গেলুম।

 সে সময় পুণায় একলা একলা গিয়ে তিলকের সম্মুখীন হওয়ার জন্যে একজন নিঃসঙ্গী বাঙালী মেয়েকে যে কতটা সাহস বুকে বাঁধতে হয়েছিল, তা কেউ অনুমান করতে পারছেন কি না জানিনে। যাহোক আমার যাত্রা সফল হল, সাহস সার্থক হল, এই আনন্দে পূর্ণ হয়ে আমি বাড়ি ফিরলুম ও যতীন বাঁড়ুয্যেদের সঙ্কল্পিত ক্রিয়ার প্রতিরোধ করলুম।

পঁচিশ

তৃতীয় পর্যায়

বিবাহ

কোন মানুষের জীবনের প্যাটার্ন কোন আর একটা জীবনের সঙ্গে এক নয়। বিধাতার যে তিনটি কন্যার উপর জীবনবয়নের ভার দেওয়া আছে,

১৮১