পাতা:জীবনের ঝরাপাতা.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
॥ পনর॥

 গগনদাদা: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬৭-১৯৩৮)। শিল্পগুরু, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। গগনেন্দ্রনাথ খ্যাতনামা বাঙ্গচিত্র-শিল্পী। তাঁহার বিখ্যাত বাঙ্গচিত্র-গ্রন্থ Reform Screams (নব হুল্লোড়') ১৯২২ সনে প্রকাশিত হয়। নিজে বিদ্যোৎসাহী এবং সাহিত্যসেবীদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।


॥ ষোল॥

 মহারাণী গার্লস্ স্কুল, মহীশূর: সরলা দেবী এই বিদ্যালয়ে এক বৎসর কাল কর্মে লিপ্ত ছিলেন। সমসাময়িক পত্রিকাদিতে এই সময়কার কিছু কিছু সংবাদ বাহির হয়। ইহাতে সরলা দেবীর কার্যকলাপের উপর আলোকপাত হইতেছে:

 (১) “ভারতীর ভূতপূর্ব সম্পাদিকা শ্রীমতী স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা শ্রীমতী সরলা দেবী মহীশূর মহারাণীর কলেজে অধ্যাপিকা ছিলেন। তিনি সম্প্রতি ৪৫০ টাকা বেতনে বরদার মহারাণীর প্রাইভেট সেক্রেটারী হইয়াছেন।”—'বামাবোধিনী পত্রিকা', অগ্রহায়ণ ১৩০২।

 (২) “কুমারী সরলাদেবী-ইনি বরদার মহারাণীর প্রাইভেট সেক্রেটারীর পদ ত্যাগ করিয়া পুনরায় মহীশূরের কর্মে ফিরিয়া গিয়াছেন।”—ঐ, ফাগুন ১৩০২।


॥ সতর॥

 ডন সোসাইটির সতীশ মুখুয্যে: সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, এম-এ, বি-এল (১৮৬৫-১৯৪৮)। সতীশচন্দ্র হিন্দুশাস্ত্র চর্চা ও সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন-কল্পে ভবানীপুরে একটি সংস্কৃত চতুম্পাঠী স্থাপন করেন। ইহার মুখপত্র-স্বরূপ ১৮৯৭ সনে ‘ডন পত্রিকা' প্রকাশিত করিলেন। এই পত্রিকার নাম হইতে ১৯০২ সনে 'ডন সোসাইটি' প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গের বহু শ্রেষ্ঠ মনীষীর প্রবন্ধাবলী এই পত্রিকায় স্থান পাইতে থাকে। ডন সোলাইটিতে সে যুগের উৎকৃষ্ট যুবক ছাত্রগণ যোগ দিয়াছিলেন। সোসাইটির যুবক সদস্যদের মধ্যে অনেকে পরবর্তী কালে বিভিন্ন বিভাগে খ্যাতিলাভ করেন। সতীশচন্দ্রের যুবক শিষ্য এবং ডন সোসাইটির যুবক সদস্যদের মধ্যে বিনয়কুমার সরকার, রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, হারানচন্দ্র চাকলাদার, রবীন্দ্রনারায়ণ ঘোষ, প্রফুল্লকুমার সরকার প্রভৃতি প্রধান ছিলেন। সতীশচন্দ্র স্বদেশী আন্দোলনের সময় বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ ও স্কুলের সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট হন। অরবিন্দ ঘোষ (শ্রীঅরবিন্দ) পদত্যাগ করিলে সতীশচন্দ্র ইহার অধ্যক্ষ হন।


 বঙ্গের বীর সিরিজের দুখানি বই: এই সিরিজের একখানি বই দেখিয়াছি, নাম—'পিতৃধন', 'ভারতী'তে প্রকাশিত প্রবন্ধ সংশোধিত ও পরিবর্ধিত আকারে মুদ্রিত হয়।


 নরেন্দ্রনাথ সেন: (১৮৪৩-১৯১১)। রামকমল সেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র হরিমোহন সেন, তদীয় চতুর্থ পুত্র নরেন্দ্রনাথ। প্রথমে হিন্দু কলেজ ও পরে নিজ গৃহে বিদ্যাভাস করেন। তিনি অল্পবয়স হইতেই সংবাদপত্র সেবায় মনঃসংযোগ করেন। কিশোরীচাঁদ মিত্রের 'ইণ্ডিয়ান ফিল্ডে' প্রথম প্রথম তাঁহার রচনা প্রকাশিত হইত। ১৮৬১ সনে 'ইণ্ডিয়ান মিরর' প্রকাশিত হইলে তিনি ইহার নিয়মিত লেখক হইলেন। সম্পাদক মনোমোহন ঘোষ ১৮৬৩ সনে বিলাত যান। তদবধি ১৮৬৬ সন পর্যন্ত নরেন্দ্রনাথ এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। কেশবচন্দ্র সেনের তত্ত্বাবধানে ১৮৭১ সন হইতে

২২৭