পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেছে সকলেই। অনায়াসে হাসিমুখে খেলার ছলে সে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এমন একটা মান্যগণ্য জমায়েতের মনের গতির।!! এমন না হলে এত কম বয়সে ব্যারিস্টারিতে এত পশার, নেতা-গিরিতে এমন নাম করতে পারে কেউ! দু-চারজনের ক্ষীণ এবং ভূবনের ক্রুদ্ধ প্ৰতিবাদ আর অভিযোগ সভাভদের বিশৃঙ্খলায় কোথায় ভেসে যায়। চেয়ার ঠেলে দিয়ে উঠে দাড়িয়ে অনন্ত বিনা বাক্য-ব্যয়ে সভা ভেঙ্গে দিয়েছে। অনেকে তাড়াতাড়ি উঠে কাছে গিয়ে তাকে ঘিরে দাড়িয়েছে। ভুবন অসহায় ক্ৰোধে অগত্যা নিজে নিজেই ফোস ফোস করে নিজের লোকের কাছে । পাকা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল অনন্তের দিকে। চোখে তার ধাঁধা দেখার অবাক জিজ্ঞাসা। এখন মুখ দেখলে মনে হবে, ছেলেটা বুঝি হাবাগোবা, ভাবুকতা আর পাকামির মেশানো ছাপটা মিলিয়ে গেছে। অনন্তের বাহাদুরি তাকে মোটেই মুগ্ধ করে নি, ওটা বাহাদুরিও হয়ে ওঠে নি। তার কাছে, অন্য একটা শব্দ এসেছে মনে সংজ্ঞা হিসাবে-চালবাজি-তার মনে আঘাত লেগেছে কঠিন। ছেলেবেলা থেকে এই মানুষটাকে সে বোধ DD DBB BBB L0LL DDDD DL DDDD DBBB LLBLSSSBBD DBDD DDD LBBBDD উচু, অনেক বড়, দৃঢ়চেতা কর্তব্যনিষ্ঠ চরিত্রবান মানুষ। সে যে এমন ছল চাতুরী অভিনয় জানে, দেশ ও স্বাধীনতার নামে ফাকি দিয়ে বোকা বানাতে পারে এতগুলি মানুষকে এমন গা-ছাড়া অবহেলার সঙ্গে, এ কথা সে ভাবতেও পারত না। হাঙ্গামা যে অল্পেই মিটে গেছে এজন্য তার বিশেষ দুঃখ নেই, কিন্তু কি দরকার ছিল এ ভাবে অল্পে হাঙ্গামা মেটাবার ? একটুখানি সত্য নিয়ে পাক দিয়ে চালাকি করে এমন মিথ্যা খাড়া করবার ? তেমন গুরুতর প্রয়োজন থাকলেও সে নয় বুঝতে পারত এ রকম ঘোরপ্যাচ চালাবাজির মানে। বিশেষ বই ইসু করা নিয়ে রাখালের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল, কিন্তু ফচকে ছোড়া বলার জন্য সে তাকে মাৱে নি। সে নিজেও কতবার কত বন্ধুকে বলেছে কথাটা। ভুবন এসে রাখালের পক্ষ নিয়ে তাকে ধমক দেওয়ায় তার মেজাজ বিগড়ে যায়। রাগারগি করে সে চলে গিয়েছিল, ভৈরবকে দিয়ে একখানা স্লিপ লিখিয়ে এনেছিল। ভৈরব অবশ্য জানত না সে কি বই চায়