পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেনেছে যে যন্ত্রণা আর মৃত্যুকে জয় কয়া মানুষেরই বাস্তব জীবনের সাধারণ বাস্তব ধৰ্ম্ম । যাই হোক, নিৰ্য্যাতনের ফলে একটা উপকার হয়েছে। মনের গতিটা ঘুরেছে পাকার। দ্রুত অনিবাৰ্য বেগে অন্তর্জগতে একটা বিপ্লব ঘটার মত। জ্ঞান ফেরার পর তৃতীয় কি চতুর্থ দিনে, প্রতিমা খানিকটা উদ্বেগের সঙ্গেই শুধিয়েছিল, কিছু বলেছি কি-না মনে আছে ? বলি নি । DBB BDD BiiuDuu DBD BBD DBDBBD S DB BDBD DBD DBDBD হয় নি, একটা বিচ্ছিন্ন বিশেষ ঘটনা ঘটে নি তার জীবনে, মানুষের একটা রীতি, KBB DBD BDD DBBuD DDYLDDDD DDBDBB BBB BBBD DYS যাওয়া এই অনির্দিষ্ট অনুভূতিতে যেন মোটামুটি একটা মীমাংসা হয়ে গেছে তার মৰ্ম্মান্তিক বিরোধের, সারা জগতের সঙ্গে এক ঝগড়া করার। এসব অনুভূতি নিজে বুঝবার মত পুষ্ট হতে দানা বাঁধতে বহুকাল লেগেছিল, কিন্তু অভিশপ্ত শক্ৰ-জগতের সঙ্গে আত্মীয়তা তার শুরু হল জ্ঞান ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে। পচা আবদ্ধ ভদ্র জীবনের ওপর রাগ করে বেচারী মরিয়া হয়ে রীতিনীতি নিয়ম-কানুন বাধা-নিষেধের দেয়াল শুধু ভেঙেই চলেছিল, নিজের ঘূণা আর জালার চাবুকে পাগল হয়ে বাড়িয়েই চলেছিল দিশেহারার মত ছুটে BBB BDBY DBBD DBBDYLiBB DDD DBS BDBDS DBDBD BDD DBBSDSDDS ফেরা মেলা-মেশার জগৎ, দিবারাত্রির জগৎ, নিয়মহীনতার জগৎ, তত তাকে গুটিয়ে আসতে হয়েছে নিজের মধ্যে। ভদ্র স্নেহের বাঁধন ছিড়ে কি হবে, কি হবে মিষ্টি হাসি গান গল্প গন্ধ শোভা ভরা সাজানো ঘর ছেড়ে পথে পথে ধুলোয় হেঁটে, নরম বিছানায় স্বপ্নালু ঘুমের বদলে চামার বস্তিতে হৈ চৈ করে, সাপ জঙ্গলের ঝরনার ধারে একার ভােবরাজ্য গড়ে তুলে, সাইকেলে দূর গায়ে পাড়ি দিয়ে, বিপদজনক মরণব্ৰতে অংশ নিয়ে, কাউকে যদি সে আপন না করে, কাউকে ভাল না বাসে । নিজেকে না দিলে কে তাকে আপন করবে, কার সাধ্য আছে ; কিসে তার সাধ মিটবে, শুধু তারই জন্য জগতে কে আছে! ybrR