পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন ফাকে সে এত বড় হয়ে গেছে টেরও পাওয়া যায় নি। আজ এ ভাবে শুয়ে থাকতে দেখে তারও প্ৰথম খেয়াল হয়েছে অমিতাভের চেয়েও পাকা (<f bJfS 页阿 S পরের বছর ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষার সময় বসন্ত কাল এল। দখিনা আর কোকিলের কলরব তো বটেই, গুটি বসন্তের একটু উগ্রতর মহামারী নিয়েও । পরীক্ষা দিয়ে পাচু ফিরেছে আটুলিগা। পাকা গিয়েছে দেশ-ভ্রমণে, অনন্ত আর নতুন মামীর সঙ্গে। ভ্রমণে নতুন মামীর শ্রান্তি এলেই পাকার কেটে পড়ার ইচ্ছা। এক খুশিমত বেড়াবে। ভারতের এদিক ওদিক। এতকাল পরে পাকার বাবা আর একটা বিয়ে করেছে। ছেলের স্বদেশীওলাদের সঙ্গে যোগাযোগের ফলে তার চাকরির দারুণ অবনতি ঘটেছে। ভবিষ্যতে কি আছে কে জানে ! অবাধ্য বিপথগামী ছেলে মন ভেঙে দিয়েছে। বিয়ের কারণ অবশ্য সেটা নয়। পাকা বলেছিল। পাচুকে, বয়ে গেল। সৎমা তো আর মা নয়। বাবার শখ হয়েছে বিয়ে করেছে, আমার কি ? কিন্তু পাচুর কাছে পাকা প্ৰায় স্বচ্ছ। তার আঘাত আর অপমান পাচুর कigछ coloन थांक नेि । লেখাপড়ার লম্বা ছুটি, পাচুর কাজের অভাব নেই। ভাবনা চিন্তা মানসকল্পনার অভাবও ঘটে না। গেরান্ত চাষীর বড় সংসার, জমিজমা গরু-বাছুরের সম্পদ কম। কম বলেই ছোট-বড় খুটিনাটি সব কাজ নিজেদের করতে হয়, লোক রাখার সাধ্য নাই। ঘরের কাজ, মাঠের কাজ, বাজারের কাজ, হাটবাজারের কাজ-সব কিছুরই অংশ পাচুর জুটে যায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে পা »bዎ8