পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথাটথা বলি নি মোটে, যতই হোক বিচ্ছিরি লাগে না মানুষের ? পরদিন সে কি কাণ্ড, সকালে বেড়াতে বেরিয়ে ঘুরতে ঘুরতে খেয়াল থাকে নি, বাড়ী ফিরতে বিকেল হয়ে গিয়েছিল। ফিরে দেখি বাবার নতুন বৌ হাউমাউ করে কঁদছে, পাগলীর মত চেহারা, বাবা টেবিলে মাথা রেখে চেয়ারে বসে আছেন চুপচাপ। নতুন মামী সেদিন যা আমায় একচােট নিলে, যেন ঠিক পাগল হয়ে গেছে, বন্দুক এনে বললে আমায় গুলি করে মারবে। বাবার পায়ে ধরিয়ে K BuBD HBBS BB DDS DDD DDD BBB DDD DDD S BBB পাগল মানুষকে বোঝার সাধ্য কারো নেই। পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইছি, বাবা পৰ্য্যন্ত কেঁদে ফেললেন। বাবা চিরকাল এমন গম্ভীর মানুষ, আবোলতাবোল কি যে সব বলতে লাগলেন। ছেলেমানুষের মতো ! আমার অবস্থাটা বুঝে দ্ব্যাখ। নতুন মামী ধরে বেঁধে এখানে এনেছে, এক মাস থাকতেই হবে, BDB B S DB BBB BBB BBD DDD DDDD DSLDD DB DD DBBD S নইলে বাবার নতুন বীে লোক বেশ ভাল একবার যাওয়ার জন্য তাগিদটা করুণ, ফঁাদে পড়ে পাকা যে কত বিপন্ন সেটা খুবই স্পষ্ট। চিঠির সঙ্গে গাঁথা দশ টাকার নোট দুটি পাঁচু তাই প্ৰসন্ন মনে সহজভাবেই গ্ৰহণ করেছে। গিয়ে এই নোট দুটিই পাকাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পাকা এমন ব্যাকুলভাবে যাবার জন্য আবেদন জানায়, এমনভাবে চিঠি লেখে, তাকে ! ধনদাস বলে, না গিয়ে বরং চিঠি লেখা একটা, জবাব এলে যাস। জ্ঞানদাস বলে, না, তুই যা পাচু, আজকালের মন্তি যা। কেনে না, ব্যাপার সুবিধে নয়। বড়ঘরের বন্ধু যেচে এমন পত্তির লেখে। কখন ? যখন তার মনের বিষম দায়। না তো জগতে তার কত বন্ধু, কত আপনজন, সবার বদলি খেয়াল হল তোকে ? নীচু হবার কথা না, না গেলে নীচু হবি তুই, বিশ্বাসঘাতক হবি।। সুভদ্রার উৎসাহ দেখে মনে হয়। পাচু এই দণ্ডে ঢাকা রওনা হলে সে হরির লুট দেয়। পাচু তার দারোগা মারার পণ করেছে, এই বুঝি, মারতে গেল, তার চেয়ে ঘুরে আসুক ঢাকা থেকে, ঠাণ্ড হয়ে আসুক। সদরে কলকাতার ট্রেন রাত দশটায় ছাড়ে, ভোরে পাঁচু রওনা দেয়। বাড়ীর

Robr