পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংগঠন যে গড়ে উঠেছে নিজে সে এটা টেরও পায় নি, মন তার ছিল অন্য দিকে । হাটে ঘাটে মাঠে এই সব ছেলেদের এর ওর তার সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখা হয়, ইয়ার্কি ফাজলামি চলে, হাসাহাসি ঝগড়াঝাটি রাগারগি হয়,-দেশের কথা ওঠে। দেশের কথাটা উঠবেই। DS LLLDB YDDBS LLL DD S DBBKS DDBD TLLB বাছুর নিতে, তাদের গরুটার বাছুর গেছে মরে, দুধ দুইতে বাছুর লাগে । নিজের বাছুর পরের বাছুর সোনা বোঝে না, যে কোন বাছুর সামনে পেলে তার গা চেটে সে বঁাটের দুধ খুলে দেয়-বাছুর ছাড়া বাটে হাত দিতে গেলে শিং নেড়ে পা ছুড়ে লাফিয়ে সোনা হুলুস্কুলু বাধিয়ে দেয়। পাচু এসেছে যাড় খুঁজতে, দেশী ছোট ষাড়। মেজবাবুদের খেয়ালের ষাঁড়ের মিশেল বাছুরটা বিয়োতে আর তাকে বঁচিয়ে রাখতে লক্ষ্মীর প্রাণান্ত হয়েছে-তাকে পোষাটাই দাড়িয়েছে লোকসানে। গাই-বলিদকে লোকসানে পুষ্যতে হলেই হয়েছে চাষীর নিজের বেঁচে থাকা! লক্ষ্মীর এবার ছোটখাট দেশী বাছুর হোক, আর মিশেলে কাজ নেই। এই ভাবে দেখা । কি উদ্দেশ্যে দুজনের গোয়ালপাড়ায় আসা প্ৰথমে সেটা জানাজানি হল। চাষাড়ে টিল্পনি হল গরু বাছুর মানুষ মিশিয়ে ; মেজোবাবুর সেজোবেী নিজের বাচ্চা হারিয়ে গরীব চাষীর বাচ্চাদের জন্য গায়ে শিশু-নিকেতন খুলছে, ছোট একটা আটচালায়। এবং শিকারের ছুতায় যে বিলাতী সায়েবটা ঘন ঘন আসে তার কল্যাণে মেজোবাবুর নিরুদ্দেশ মেজো ছেলের বৌ মিশেল বাচ্চ বিয়োতে গেছে হাসপাতালে। এই সব রসালে আলোচনা। কলকাতায় কি করে জানিস ? পাচু রহস্যের সুরে শুধায়। কি করে ? বাছুর মরে গেলে চামড়াটা খড়ে জড়ায়। তাই সামনে ধরে গরু দোয়। কলকাতায় সব ফাকিবাজি, চোরের আড়া। কাকার সেবার গাট কাটলে, পুলিস একটা টাকা নিলে কাকার ঠেয়ে। চোর ধরলে খবর দেবে। হবে না ? ইংরেজ আছে মোদের গাট কাটতে, যেমন কত্তা তেমনি চাকর । RRO