পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে বিদেশীর যত লাথি বাটা জমা হয়েছে সব সুদে আসলে ফিরিয়ে দিতে হবে, এ ছাড়া কোন উপায় নেই-এ তো সহজ সরল বাস্তব কথা। চাষী ছেলেরা এ সব কথা শুনতে চায় পাচুর কাছে। তারা পাচুকে ঘিরে নিজেদের গঠিত করে। একটা বিশেষ ঘটনায় জন পনেরো ছেলে এক সঙ্গে তার পরামর্শ চাইতে এলে পাচু আশ্চৰ্য্য হয়ে প্রথম টের পায় যে দলটা গড়ে উঠছে এবং এখন নেতৃত্ব দিতে হবে তাকে । ঘটনা সেই চিরকেলে অনাচার । গরীর চাষীর মেয়ে দেখে বড়লোক জমিদার বা তার ছেলের লোভ। এ ক্ষেত্রে মেয়েট গণেশ সাতরার, ছেলেটি মেজকৰ্ত্তার। কলকাতায় উচু পরীক্ষা দিয়ে হেমন্ত দেশে এসেছে। গোবরে যত পদ্মই ফুটুক, দুকলি তেমন সুন্দরী নয়। তবে লোভ থাকে পুরুষের চোখে এবং মনের মধ্যে মেয়ের জন্য কত চেষ্টা চরিত্র আর হাঙ্গামা বাঞ্চাটের বালাই দরকার হিসাব থাকে তার ৷ সায়া ব্লাউজ ঢাকা যাদের দেখা অভ্যাস হেমন্তের, তারা কেউ এমনি শুধু একফেরত একটি শাড়ী পরে সামনে এলে দুকলি কোথায় উড়ে যায়, কিন্তু তাদের রুচি আলাদা । বাপ হলে চর পাঠাত, হেমন্ত একেলে ছেলে, নিজেই গোল সাতরাদের বাড়ী ৷ উদার ভাবে সতরাদের কৃতাৰ্থ করার জন্য গায়ের জোরে ঢোকার বদলে একটা ছুতো করে অন্দরে ঢুকে জাকিয়ে বসে বলল, ক’বিঘে জমিতে নতুন ধরনে চাষের পরীক্ষা করব গণেশ, আমার অনেক দিনের সখ। তুমি খেটে খুটে দেবে, দেখাশোনা করবে। তোমার ঘরদোরের अवश् 6७ vaga vq gf ir Ritr | সেদিন হাত ধরা পৰ্যন্ত। দুকলি হঁা না জোর করে বলতে ভরসা পায় নি। বলা কি যায় ! মেজকৰ্ত্তার বড় ছেলে । যার শখ হলে গরীব মানুষের ঘর জ্বলে वॉ, माश्या ५ পৃথিবীর বাতাসে শ্বাস টেনে স্বৰ্গে গিয়ে সেই নিশ্বাস ফেলে। RVØR