পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন দিকে কাদের সঙ্গে যেতে চেয়েছিল। পাকা, আজ ডাক এলেও যাদের সদে ভিড়তে পারছে না, সে সব কিছু লেখে নি। পাচুর বুঝতে অসুবিধা ईसा कभीं नभ । বিষয়টা কি ?--ধনদাস প্রশ্ন করে। আবোল-তাবোল লিখেছে খেয়ালের কথা।-নিজের মাথায় আঙুলের টোকা দিয়ে পাচু বলে, মাথাটা এখনো ঠিক হয় নি। स्त्र ! ধনদাসকে বুঝিয়ে এড়াবার জন্য শুধু নয়, পাচুর সত্যই ধারণা হয়েছে যে পাকার মাথা বিগড়ে গেছে। সে পাকাকে জানে, ভালবাসে, তাই তার এলোমেলো ভাসাভাস চিঠিখানার মধ্যে বেদন ও হতাশার গভীরতা সে ধরতে পারে। আত্মহত্যার উল্লেখটা তাকে দারুণ দুর্ভাবনায় ফেলেছে। শ্ৰান্ত ক্লান্ত হয়ে শুয়েও অনেক রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত এই দুশ্চিন্তা নেড়েচেড়ে জেগে থাকে। একবার ভাবে, এ অসম্ভব, সে মিছে ভাবছে, পাকার পক্ষে আত্মহত্যার কথা মনে আনাও সম্ভব নয়। আবার ভাবে, পাকার পক্ষে অসম্ভব কিছু अigछ कि ? মাথা ঠিক থাকলে, বিবেচনার শক্তি থাকলে, একটা ব্যাপারকে ফেনিয়ে ফঁাপিয়ে এত বড় করে তুলতে কি পারত পাকা, এমন কিছু স্বষ্টিছাড়া অস্বাভাবিক ব্যাপার যা নয় ? সারা জীবন তছনছ হতেই হবে, উদ্দেশ্য আদর্শ কাজকৰ্ম্ম সব পণ্ড হয়ে যাবেই যাবে, আত্মহত্যার কথা পৰ্য্যন্ত ভাবতে হবে! এমন ভয়ঙ্কর যদি এ ফাদট, একবার পা দিলে জীবনে আর সামলে নেবার সাধ্য থাকে না, সংসারে তবে ব্যাটাছেলের তো বঁাচাই কঠিন! তারা কি ফচকে ফাজিল ছোড়া, শুধু বজ্জাতি করে বেড়ায়, অসামাজিক ঘটনাচক্র তৈরি করার ফিকির ছাড়া জীবনে আর কিছুই নেই তাদের যে ওরকম কিছু ঘটলে চিরদিনের জন্য পাপী অভিশপ্ত হয়ে যাবে ? পাকা কি তার নতুন মামীকে তৈরি করেছে, না ঘটনাগুলি স্বষ্টি করেছে ? তাছাড়া, সে-ই যেন বিশ্ব-ব্ৰহ্মাণ্ডকে রসাতলে পাঠাল, এত বাড়াবাড়ি কেন পাকার ! ভালবাসা ? এই যদি ভালবাসা হয়, এত কষ্টকর। আর এমন সর্বনাশ। R(tR