পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানাই-এর গলা চড়ে গিয়েছিল। ভাল লাগছিল। পাকার তাকে দেখতে ও তার কথা শুনতে। অমিতাভ নাম ধরে ডাকতেই কানাই থেমে যায় ; চায়ের দোকানে লোক ছিল না। তবু কালীনাথের নাম ধরে এত জোরে এসব কথা বলা উচিত হয় নি, পাকাও এটা বুঝতে পারে। অমিতাভ যেভাবে সতর্ক করে দেয়। আর কানাই অপরাধীর মত থেমে যায়, সেটা আশ্চৰ্য্য করে দেয়। পাকাকে । সে বুঝতে পারে, কানাই তার চেয়ে অনেক বেশি জানে কালীনাথদার সম্পর্কে। এতদিন এটা ঘূণাক্ষরে টের পাওয়া যায় নি। অমিতাভ বলে, কানাই, কাল আমার একটা সাইকেল ভাড়া চাই ভাইসারাদিনের জন্যে । সাইকেল ভাড়া চাই ? আচ্ছা । একটু চুপচাপে কাটে। হঠাৎ উঠে দাড়িয়ে কানাই বলে, চলি। পাকার সঙ্গ যে তার ভাল লাগছে না, সহস্থ হচ্ছে না, সেটা একরকম স্পষ্ট ঘোষণা করেই কানাই পা বাড়ায়। তাকে শুনিয়ে পাকা হাকে, বনমালী, আর এক কাপ চা দেবে বাপধন ? অমিতাভ উঠে এসে তার পাশে বসে।--আমাকে এক কাপ খাওয়াবে vstè ? এবার আর মনে হয় না। অমিতাভ দাদাত্ব করছে । সহজ সাধারণভাবে আলাপ করে, পাকার মামাদের কথা জিজ্ঞেস করে, শহরের দু-একটা সাধারণ খবর জানতে চায়। প্ৰসঙ্গক্রমে জানায় যে কালীনাথের কাছে পাকার কথা সে শুনেছে। নয়নতারা ক্লাবের ব্যাপারটা মন দিয়ে শোনে। তার সঙ্গে অমিতাভের ভাব করার আগ্রহটা পাকা টের পায়। সে খুশি হয়। বাড়ী যাবে না ? চলে একসঙ্গেই যাই কোতোয়ালি পৰ্যন্ত । আপনি এগোন। আমার মনটা ভাল নেই। RV