পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনন্তেরও এই একটা বিশেষত্ব ছিল-এখনো আছে কি-না পাকা জানে ন-জীবিত অপেক্ষা মৃত নেতাদের মত ও পথ এবং মহত্ত্ব সম্পর্কে তাৱ উচ্ছসিত ভক্তি। দেশবন্ধু সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি, কারণ অতি-সম্প্রতি তিনি মারা গেছেন। সভাসমিতিতে এমন ভাবে স্বগীয় নেতাদের কথা অনন্ত বক্তৃতায় টেনে আনে যে মনে হয়। অন্তরালে থেকে তঁরা প্ৰত্যেকটি কথা সমর্থন করছেন । পাকাকে অনন্ত গত আন্দোলনের কাহিনী শোনাত, মৃত নেতাদের তেজবীৰ্য বীরত্ব মহত্ত্বের রোমাঞ্চকর বর্ণনা দিত। পাকা শুনত মুগ্ধ হয়ে, চোখ তার জলে উঠত স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের প্রেরণায়। এটা পছন্দ হত না সুধার। অনন্তের দিকে ভৎসনার দৃষ্টিতে তাকিয়ে সে दाङ : নমস্য ছিলেন, বাস, তার বেশি আমাদের দরকার নেই। তুমি পড়াশোনা করবে, শান্ত হবে, কথা দিয়ে এনেছি কিন্তু পাকা তোমায়-আমার মুখ রাখতে शहद किङ् । তীব্র বিতৃষ্ণ বোধ করত। পাকা। ইচ্ছা হত মারতে—নতুন মামীকে মারতে ! সুধা বোধ হয় টের পেত। তার মনের ভাব, তাই অনেক রাতে তার মনটা বদলাতে আসত। পাকার ঘরে পড়ার টেবিল, বইয়ের সেলফ, বিছানা-যত দামী, যত সংক্ষিপ্ত, যত বেশি ঝকঝকে তকতকে করা সম্ভব সুধা তা করেছে। পাকা আরামে পড়বে, আরামে ঘুমাবে, তার বেশি আর কিছু যে সুধা চায় না ঘরটা যেন তারই সুস্পষ্ট ঘোষণা । আলো জালিয়ে পাকা আধা ঘণ্টা পড়ত পড়ার বই-তারপর নিষিদ্ধ বই। সুধা তা জানত। ঘরে এসে চেয়ারের পিছন থেকে তার গলা জড়িয়ে মাথায় গাল রেখে বলত, তাকে নিয়ে আমি কি করি বলা তো ! BBDD DDD DDS gi DOODDS SDBB BOBOD DBBD gBB BDBB উচিত, অপমান করা উচিত নতুন মামীকে। কিন্তু ছেলেমানুষ মনটা তার দেখতে দেখতে গলে যেত, তথাকথিত আক্রমণে যেমন ঘৃতকুম্ভ গলে যায়। SRbr