শক্তিসাধন হাসিতে হাসিতে উত্তর করিলেন, “আর ভাই! তোমার কাছে আসিব, তাহার আর সময় অসময় কি? এখন এই লোকটীর সঙ্গে একবার জোড়াবাগানে যাইতে হইবে।”
এই বলিয়া শক্তিসাধন তাঁহার নিকটস্থ একখানি চেয়ারে উপবেশন করিলেন। আমি তাঁহাদের নিকট দাঁড়াইয়া রহিলাম। যে বেশে সেখানে গিয়াছিলাম, তাহাতে তাঁহাদের নিকটে বসিতে সাহস করিলাম না।”
দুই একটা অন্য কথা কহিয়া ডাক্তার বাবু আমার দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাহার কি হইয়াছে বাপু?”
আমি অতি বিনীতভাবে উত্তর করিলাম, “আমাদের বাসার একটী স্ত্রীলোকের গাত্রে কি সব দাগ হইয়াছে। লোকে বলিতেছে, পারা ফুটিয়াছে। জোড়াবাগানের অনেকেই আপনাকে বিশেষ চেনে, তাঁহারাই আমাকে আপনার নিকটে আসিতে বলিয়াছিলেন। যদি দয়া করিয়া একটীবার দেখিয়া আসেন, তাহা হইলে সে রমণী এ যাত্রা রক্ষা পায়।”
ডাহার বাবু তখন উপস্থিত দুই চারিটা রোগী দেখিয়া গাত্রোত্থান করিলেন, সদরদ্বারেই তাঁহার গাড়ী অপেক্ষা করিতে ছিল। তিনিই অগ্রে তাহাতে আরোহণ করিলেন। পরে, আমাকেও উঠিতে আদেশ করিয়া কোচমানকে শকট চালনা করিতে বলিলেন।
কিছুদূর যাইলে পর ডাক্তার বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “যে স্ত্রীলোকটীর পীড়া হইয়াছে, তিনি আপনার কে?”
আমি কেবল হাসিলাম, কোন উত্তর করিলাম না, তিনিও আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেন না। বোধ হয় আমাকে