আ। তিনি কতক্ষণ ভিতরে গিয়াছেন?
মু। অনেক ক্ষণ।
আ। তোমাকে কোথায় যাইতে হইবে
মু। বাগবাজারে।
কোথা হইতে এই সকল দ্রব্যাদি ক্রয় করা হইয়াছিল?
মু। শ্যামবাজারে।
আ। তবে বাগবাজারে না গিয়া এদিকে আসিলে কেন?
মু। বাবুর হুকুম—ইহার জন্য বাবু দুইটী পয়সা অধিক দিবেন বলিয়াছেন।
এই প্রকার কথাবার্ত্তা হইতেছে, এমন সময়ে শক্তিসাধন বাবু তথায় আসিলেন। আমি তাঁহাকে দেখিব মাত্র শশব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “কি মহাশয়! হরিসাধন বাবুর মৃতদেহের সৎকার করা হইয়াছে?
শক্তিসাধন অতি বিষণ্ণ বদনে উত্তর করিলেন, “আজ্ঞে হাঁ— বেলা এগারটার সময় আমরা দাহকার্য্য শেষ করিয়াছি।”
আ। এই মুটিয়ার মাথায় যে সকল দ্রব্যাদি রহিয়াছে, উহা কি আপনিই কিনিয়া আনিলেন?
শ। আজ্ঞে হাঁ।
আমি ঈষৎ হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি জাতিচ্যুত হইয়াছেন,—সমাজ আপনাকে জাতিচ্যুত করিয়াছে। তবে আবার আপনি সামাজিক কার্য্য করিতেছেন কেন?”
শক্তিসাধনও ঈষৎ হাসিয়া উত্তর করিলেন, “সত্য, কিন্তু দাদার স্ত্রীর অনুরোধ।”