আ। এ সকল দ্রব্যাদি কিনিতে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় হইয়াছে। এ সকল ব্যয়ভার কে বহন করিলেন?
“দাদার স্ত্রী।”
“আপনি ত নিজ বাড়ীতেই হবিষ্য করিবেন?”
“আজ্ঞে না, দাদার বাড়ীতে।”
“কেন? নিজ বাড়ীতে নয় কেন?”
“এখানে করিলে আমাকে ভয়ানক পরিশ্রম করিতে হইবে। দাদার বাড়ীতে দাদার স্ত্রী সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়া দিবেন।”
“কেন? এখানে ত আপনার স্ত্রী আছেন?”
“আমার স্ত্রী নাই। স্ত্রী জীবিত থাকিলে কি আমার আজ এ দুর্দ্দশা হইত।”
“তবে এ বাড়ীতে আপনার কে আছে?”
শক্তিসাধন লজ্জায় মস্তক অবনত করিলেন। পরে অতি অস্পষ্ট ভাবে বলিলেন, “এখানে যাহার সহিত বসবাস করিতেছি, তিনি আমার বিবাহিতা পত্নী নহেন।”
আমার প্রশ্নে তিনি যথেষ্ট লজ্জিত হইয়াছিলেন। কাজেই কথাটা চাপ দিবার অভিপ্রায়ে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার দাদার উইল পড়া হইয়াছে?”
শক্তিসাধন হাসিয়া বলিলেন, “উইল আছে কি না তাহাই জানি না।”
এই সময়ে সেই মুটে বলিয়া উঠিল, “বাবু, আরও কত দেরি।”
আমি বিষম ফাঁপরে পড়িলাম। যে কার্য্যে গমন করিতেছি, তাহাতে শক্তিসাধনকে গ্রেপ্তার করাই উচিত। কিন্তু তখন