পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ। আমরা দেখিয়াছি, অদ্বৈত বেদান্তের একতম মূলভিত্তিস্বরূপ মায়াবাদ অন্মুটভাবে সংহিতাতেও দেখিতে পাওয়া যায়, আর উপনিষদে যে সকল তত্ত্ব খুব পরিস্ফুট ভাব ধারণ করিয়াছে, সংহিতাতে তাহার সকলগুলিই অস্ফুটভাবে কোন না কোন আকারে বর্তমান। আপনার অনেকেই এক্ষণে মায়াবাদের তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে অবগত হইয়াছেন এবং বুঝিতে পারিয়াছেন ; অনেক সময় লোকে ভ্রান্তিবশতঃ মায়াকে ‘ভ্ৰম’ বলিয়া ব্যাখ্যা করে ; অতএব তাহারা যখন জগৎকে মায়া বলেন, তখন উহাকেও ভ্রম’ বলিয়া ব্যাখ্যা করিতে হয় । মায়ার ‘ভ্ৰম’ এই অর্থ বড় ঠিক নহে। মায়া কোন বিশেষ মত নহে, উহা কেবল বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের স্বরূপ বর্ণনা মাত্র। সেই মায়াকে বুঝিতে হইলে, আমাদিগকে সংহিতা পৰ্য্যন্ত যাইতে হইবে, এবং প্রথমে মায়া সম্বন্ধে কি ধারণা ছিল, তাহা পৰ্য্যন্ত দেখিতে হইবে। আমরা দেখিয়াছি, লোকের দেবতার জ্ঞান কিরূপে আসিল। বুঝিতে হইবে, এই দেবতার প্রথমে কেবল শক্তিশালী পুরুষমাত্র ছিলেন । আপনার অনেকে গ্রীক, হিব্রু, পারসী বা অপরাপর জাতির প্রাচীন শাস্ত্রে দেবতার। আমাদের দৃষ্টিতে যে সকল কাৰ্য্য অতীব স্কৃণিত, সেই সকল কাৰ্য্য করিতেছেন, এইরূপ বর্ণনা দেখিয়া ভীত হইয়া থাকেন ;

} e 8