পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । কিন্তু আমরা সম্পূর্ণরূপে ভুলিয়া যাই যে, আমরা উনবিংশ শতাব্দীর লোক, আর এই সব দেবতা অনেক সহস্ৰ বৰ্ষ পূর্কের জীব ; আর আমরা ইহাও ভুলিয়া যাই যে, ঐ সকল দেবতার উপাসকের তাঙ্গদের চরিত্রে কিছু অসঙ্গত দেখিতে পাইতেন না, বা তাহার তাহাদের দেবতাদের যেরূপ বর্ণনা করিতেন, তাহাতে র্তাহারা কিছুমাত্র ভয় পাইতেন না ; কারণ, সেই সকল দেবতারা তাহাদেরই মত ছিলেন। আমাদের সারা জীবনে আমাদের এই শিক্ষা করিতে হইবে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার নিজ নিজ মাদর্শনুসারে বিচার করিতে হইবে, অপরের আদর্শানুসারে নয়। তাহা না করিয়া, আমরা আমাদের নিজ আদর্শ দ্বারা অপরের বিচার করিয়া থাকি। এরূপ করা উচিত নয়। আমাদের চতুষ্পার্শ্ববৰ্ত্তী লোকসকলের সহিত ব্যবহার করিবার সময় আমরা সৰ্ব্বদাই এই ভুলে পড়ি, আর আমার ধারণা, অপরের সহিত আনাদের যাহা কিছু বিবাদ বিসংবাদ হয়, তাহা কেবল এই এক কারণ হইতে হয় যে, আমরা অপরের দেবতাকে আমাদের নিজ দেবতা দ্বারা, অপরাপর আদর্শ আমাদের নিজ আদর্শ দ্বারা এবং অপরের অভিসন্ধি . আমাদের নিজ অভিসন্ধি দ্বারা পিচার করিতে চেষ্টা করিয়া থাকি । বিশেষ বিশেষ অবস্থায় আমি হয়ত কোন বিশেষ কাৰ্য্য করিতে পারি, আর যখন আমি দেখি, আর এক জন লোক সেইরূপ কাৰ্য্য করিতেছে, আমি মনে করিয়া লই, তাহারও সেই অভিসন্ধি ; আমার মনে একথা একবারও উদয় হয় না যে, যদিও ফল সমান হইতে পারে, তথাপি ভিন্ন ভিন্ন সহস্ৰ সহস্র কারণ সেই একই ফল প্রসব করিতে পারে। আমি যে কারণে সেই কাৰ্য্য . ed