পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । অধিক বীভৎস ছিল না। যখন আমরা সেই প্রাচীনকালের সমাজের অবস্থা, প্রাচীনকালের লোকের নৈতিক ভাব-—যাহার ভিতরে ঐ দেবতার ভাব বিকাশ পাইবার অবকাশ পাইয়াছিল, তাহা হইতে পৃথক্ করিয়া সেই ভাবগুলিকে দেখিতে যাই, তখনই তাহাদের বীভৎসত প্রকাশ হইয়া পড়ে। প্রাচীনকালের সমাজের অবস্থা এখন ত আর নাই। যেমন প্রাচীন রাহুদী বর্তমান তীক্ষবুদ্ধি য়াহুদীতে পরিণত হইয়াছেন, যেমন প্রাচীন আর্ঘ্যের আধুনিক বুদ্ধিমান হিন্দুতে পরিণত হইয়াছে, সেইরূপ জিহোভার ক্রমোন্নতি । হইয়াছে, দেবতাদেরও হইয়াছে। আমরা এইটুকু ভুল করি যে, আমরা উপাসকের ক্রমোন্নতি স্বীকার করিয়া থাকি, কিন্তু ঈশ্বরের ক্রমোন্নতি স্বীকার করি না । উন্নতি করিয়াছেন বলিয়, তাহার টপাসকদিগকে আমরা যেটুকু প্রশংসাবাদ প্রদান করি, ঈশ্বরকে তাহাও দিতে নারাজ। কথাটা এই—তুমি আমি যেমন কোন বিশেষ ভাবের প্রকাশক বলিয়, ঐ ভাবের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তোমার আমার উন্নতি হইয়াছে, সেইরূপ দেবতারাও বিশেষ বিশেষ ভাবের স্তোতক বলিয়, ভাবের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দেবতারও উন্নতি হইয়াছে। তোমাদের পক্ষে এইটী আশ্চৰ্য্য বোধ হইতে পারে যে, দেবতা বা ঈশ্বরের আবার উন্নতি হয় কি ? এরূপভাবে ধরিলে, ইহাও ত বলা যায় যে, মানুষেরও কখন উন্নতি হয় না। আমরা পরে দেখিব,--এই মানুষের ভিতর যে প্রকৃত মানুষ রহিয়াছেন, তিনি অচল, অপরিণামী, শুদ্ধ ও নিত্যমুক্ত । . যেমন এই মানুষ সেই প্রকৃত মানুষের ছায়া মাত্র, তদ্রুপ আমাদের ঈশ্বরধারণা কেবল আমাদের মনের হঠাত্র-উহার সেই প্রকৃত ঈশ্বরের o