জ্ঞানযোগ । আংশিক প্রকাশ, আভাষমাত্র। ঐ সকল আংশিক প্রকাশের পশ্চাতে প্রকৃত ঈশ্বর রহিয়াছেন, তিনি নিত্যশুদ্ধ, অপরিণামী । কিন্তু ঐ সকল আংশিক প্রকাশ সৰ্ব্বদাই পরিণামশীল—উহার উহাদের অন্তরালস্থ সত্যের ক্রমাভিব্যক্তিমাত্র। সেই সত্য যখন অধিকপরিমাণে অভিব্যক্ত হয়, তখন উহাকে উন্নতি, আর উহার অধিকাংশ আৰুত বা অনভিব্যক্ত থাকিলে, তাহাকে অবনতি বলে। এইরূপে যেমন আমাদের উন্নতি হয়, তেমনি দেৱতারও উন্নতি হয়। সাদাসিদে ভাবে ধরিতে গেলে বলিতে হয়, যেমন আমাদের উন্নতি হয়, আমাদের স্বরূপ যেমন প্রকাশ হয়, তেমনি দেবগণও তাহাদের স্বরূপ প্রকাশ করিতে থাকেন । এক্ষণে আমরা মায়াবাদ বুঝিতে সমর্থ হইব। জগতের সকল ধৰ্ম্মই এই প্রশ্ন উত্থাপিত করিয়াছেন,—জগতে এই অসামঞ্জস্ত কেন ? জগতে এই অশুভ কেন ? আমরা ধৰ্ম্মভাবের প্রথম প্লুম্ভের সময় এই প্রশ্নের উত্থাপন দেখিতে পাই না; তাহার ক্ট—আদিম ময়ূন্যের পক্ষে জগৎ অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোধ হয় নাই। তাহার চতুর্দিকে কোন অসামঞ্জস্ত ছিল না, কোন প্রকার মতবিরোধ ছিল না, ভালমন্দের কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। কেবল র্তাহাদের হৃদয়ে দুইটী জিনিষের সংগ্রাম হইত। একটী বলিত,—এই কর,আর একটী তাহা করিতে নিষেধ করিত ! প্রাথমিক মনুষ্য ভাবের দাস ছিলেন। তাহার মনে যাহ উদয় হইত, তাহাই তিনি করিতেন। তিনি নিজের এই ভাব সম্বন্ধে বিচার করিবার বা উহাকে সংযম করিবার চেষ্টা মোস্ট্রই > obo