পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীয়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । এইরূপ ধারণাসম্পন্ন হইলেও, কেহই চাৰ্ব্বাকদিগের উপর কোন অত্যাচার করে নাই । আমরা ধৰ্ম্মবিষয়ে স্বাধীনতা দিয়াছিলাম, তাহার ফলস্বরূপ এখনও ধৰ্ম্মজগতে আমাদের মহাশক্তি বিরাজিত। তোমরা সামাজিক বিষয়ে সেই স্বাধীনতা দিয়াছ, তাহার ফল—তোমাদের অতি সুন্দর সামাজিক প্রণালী। আমরা সামাজিক উন্নতি-বিষয়ে কিছু স্বাধীনতা দিই নাই, মুক্তরাং আমাদের সমাজ সঙ্কীর্ণ। তোমরা ধৰ্ম্মসম্বন্ধে স্বাধীনতা দাও নাই, ধৰ্ম্মবিষয়ে প্রচলিত মতের ব্যতিক্রম করিলেই অমনি বন্দুক তরবারি বাহির হইত ; তাহার ফল-ইউরোপীয় ধৰ্ম্মভাব সঙ্কীর্ণ। ভারতে সমাজের শৃঙ্খল খুলিয়া দিতে হইবে, আর ইউরোপে ধৰ্ম্মের শৃঙ্খল খুলিয়া লইতে হইবে। তবেই উন্নতি হইবে। যদি আমরা, এই আধ্যাত্মিক নৈতিক বা সামাজিক উন্নতির ভিতরে যে একত্ব রহিয়াছে, তাহা ধরিতে পারি, যদি জানিতে পারি,—উহার একই পদার্থের বিভিন্ন বিকাশমাত্র, তবে ধৰ্ম্ম আমাদের সমাজের মধ্যে প্রবেশ করিবে; আমাদের জীবনের প্রতি মুহূৰ্ত্তই ধৰ্ম্মভাবে পূর্ণ হইবে। ধৰ্ম্ম আমাদের জীবনের প্রতি কার্য্যে প্রবেশ করিবে—ধৰ্ম্ম বলিতে যাহা কিছু বুঝায়, সেই সমুদয় আমাদের জীবনে তাহার প্রভাব বিস্তার . করিবে। বেদান্তের আলোকে তোমরা বুঝিবে, সব বিজ্ঞান o কেবল ধর্মেরই বিভিন্ন বিকাশমাত্র ; জগতের আর সব জিনিষও । ঐরূপ। 。 তবে আমরা দেখিলাম, স্বাধীনতা থাকাতেই ইউরোপে এই ৷ সকল বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও প্রবৃদ্ধি হইছে, আর আমরা দেখিতে డిచి --