পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ও ঈশ্বরধারণার ক্রমবিকাশ । পুৰ্ব্বকথিত অপর দলের হৃদয়ে কিন্তু সহানুভূতি ছিল। উাহারা বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, দোষ নিবারণ করিতে হইলে, উহার কারণ পর্যন্ত গমন করিতে হইবে। বড় বড় সাধু মহাত্মাগণকে লইয়াই এই দল গঠিত। একটী কথা তোমাদের স্মরণ রাখা আবগুক যে, জগতের সকল শ্রেষ্ঠ আচাৰ্য্যগণই বলিয়া গিয়াছেন,— আমরা নাশ করিতে আসি নাই, পূৰ্ব্বে যাহা ছিল, তাহাকে সম্পূর্ণ করিতে আসিয়াছি। অনেক সময় লোকে আচাৰ্য্যগণের এইরূপ মহৎ উদ্বেগু না বুঝিয়, তাহারা সাধারণ লোকের মতে সায় দিয়া তাহাদের অনুপযুক্ত কাৰ্য্য করিয়াছেন, বলিয়া থাকে। এখনও অনেকে এইরূপ বলিয়া থাকে যে, ইহারা যাহা সত্য বলিয়া ভাবিতেন, তাহ প্রকাশ করিয়া বলিতে সাহস করিতেন না, ইহার কতকটা কাপুরুষ ছিলেন। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। এই সকল একদেশদশীরা এই সকল মহাপুরুষগণের হৃদয়স্থ প্রেমের অনন্ত শক্তি অতি অল্পই বুঝিতে পারে। তাহার জগতের নরনারীগণকে তাহদের সন্তান । স্বরূপ দেখিতেন। তাহারাই যথার্থ পিতা, তাহারাই যথার্থ দেবতা, । তাহাদের প্রত্যেকেরই জন্য অনন্ত সহানুভূতি এবং ক্ষম ছিল— তাহারা সৰ্ব্বদা সন্থ এবং ক্ষমা করিতে প্রস্তুত ছিলেন। তাহার জানিতেন,—কি করিয়া মানবসমাজ সংগঠিত হইবে ; সুতরাং তাহারা অতি ধীরভাবে, অতিশয় সহিষ্ণুতার সহিত র্তাহাজের সজীবন ঔষধপ্রয়োগ করিতে লাগিলেন। লোককে তাহার গালাগালি দেন নাই বা ভয় দেখান নাই, কিন্তু অতি ধীরভাবে তাহাকে এক এক পদ করিয়া পথ দেখাইয়া লইয়া গিয়াছিলেন । ইয়রাই উপনিষদের রচয়িত। তাহার বেশ জানিতেন,-ঈশ্বরীয় ১২৩ .